সাভার প্রতিনিধি : সাভারের আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়িতে বাসে তরুণী ধর্ষণ ও চালক হত্যা মামলার প্রধান আসামি রুবেল (২৫) পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। শুক্রবার ভোররাতে টঙ্গাবাড়ি এলাকায় ঢাকা উত্তর জেলা পুলিশের সাথে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
নিহত রুবেল টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানার লক্ষিণদার গ্রামের লাল মাহমুদের ছেলে। তিনি গত ১৩ ফেব্রুয়ারি আশুলিয়ার শ্রীপুর এলাকায় চলন্ত বাসে ডাকাতিকালে এক তরুণীকে ধর্ষণ ও চালককে হত্যার ঘটনায় জড়িত বলে দাবি করেছে পুলিশ। এছাড়া তিনি ডাকাত দলের সর্দার বলেও জানা গেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ডিবি পুলিশ জানায়, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল থেকে ছেড়ে আসা একটি যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসময় ডাকাতরা বাসে এক তরুণীকে ধর্ষণ ও চালককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। পরে বাসটি আশুলিয়ার শ্রীপুর এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা।
ওই ডাকাত দলকে ধরতে আজ শুক্রবার ভোররাতে টঙ্গাবাড়ি এলাকায় অভিযান চালায় ঢাকা উত্তর ডিবি পুলিশ। কিন্তু ডাকাত দল বিষয়টি টের পেয়ে গুলি চালালে ডিবি পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে রুবেল নামে ওই ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তলসহ দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ। তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, চলন্ত বাসে ডাকাতি, তরুণী ধর্ষণ ও চালক হত্যার ঘটনায় রুবেল জড়িত। এছাড়া তার নামে বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি, ধর্ষণ, চাঁদাবাজীসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে।
পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, বন্দুকযুদ্ধে ডিবি পুলিশের এসআই তানভীর মোর্শেদ, এএসআই সেলিম মিয়া ও কনস্টেবল নয়ন আহমেদ আহত হয়েছে। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহত ডাকাতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এসআই আবুল কালাম আজাদ।
এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
নিহত ডাকাতের বুকে ২টি গুলির চিহৃ রয়েছে বলে জানিয়েছেন সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. ফেরদৌসি আক্তার।