স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের পুরনো রোগ এটি। মাথা খাটিয়ে বল বাই বল রানের চাকা সচল রাখার চেয়ে তারা বাউন্ডারি মারতেই বেশি সচ্ছন্দ্যবোধ করে। ফলাফল প্রতি ম্যাচে অসংখ্য ডট বল পায় প্রতিপক্ষ বোলাররা। গতকাল নিদাহাস ট্রফির মঞ্চে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচেও একই অবস্থা হয়েছে। ১২০ বলের ইনিংসে ৫৫টি ডট বল দিয়েছে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা। পুরো সংবাদ সম্মেলনে বারবার ঘুরেফিরে এলো সেই প্রসঙ্গ, ‘ডট বল’।
হারের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে অধিনায়কের কণ্ঠে সেই ডট বলের কথাই উঠে এল, ‘টি-টোয়েন্টিতে মাঝের ওভারগুলোতে আমরা ধুঁকোছি। অনেক বেশি ডট বল খেলছি। তারপর উইকেটও বিলিয়ে আসছি। আজকেও (গতকাল) আমরা ভালোই শুরু করেছিলাম, কিন্তু পরে নিয়মিত উইকেট হারিয়েছি।’
ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ৬ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ ১৩৯ করার পরই কার্যত ম্যাচ শেষ হয়ে যায়। ৮ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। বাংলাদেশের বাউন্ডারি থেকে রান এসেছে ৬৬। বাকী ৭৩ রান এসেছে সিঙ্গেল-ডাবলস থেকে। অর্থাৎ ৬৬টি বল থেকে রান পেয়েছে ব্যাটসম্যানরা। ওয়ানডেতে এই ডট বল কিছু ক্ষেত্রে কাভার করা সম্ভব হলেও টি-টোয়েন্টিতে তো অসম্ভব।
মাহমুদ উল্লাহও সেটা স্বীকার করে বললেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে মাঝের ওভারগুলোতে একটু পিছিয়ে আছি আমরা। বরাবরই এখানে খেই হারিয়ে ফেলি। সিঙ্গেল নিতে পারছি না, ডাবলসও না। পাশাপাশি বাউন্ডারিও হচ্ছিল না আজ। একই সঙ্গে উইকেটও দিয়ে এসেছি।’