নিজস্ব প্রতিবেদক : জিয়া অরফানেজ মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেওয়া চার মাসের জামিনাদেশ হাইকোর্টের আদান-প্রদান শাখা থেকে নিম্ন আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে হাইকোর্ট থেকে এ আদেশ সংশ্লিষ্ট আদালতে পাঠানো হয়। এখন খালেদার আইনজীবীরা বেইল বন্ড দেওয়ার পর নিম্ন আদালত কারাগারে রিলিজ অর্ডার পাঠাবেন। তারপর আর কোনো মামলায় গ্রেফতার না থাকলে কারা কর্তৃপক্ষ যাচাই বাচাই করে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেবেন।
এর আগে মঙ্গলবার জামিনাদেশে সই করেন দুই বিচারপতি।
বিচারিক আদালতের নথি পৌঁছানোর পর সোমবার (১২ মার্চ) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার চার মাসের জামিন দেন।
তবে জামিনের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক। যে আবেদনের শুনানি বুধবার আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদার আইনজীবীদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। সেদিন খালেদার জরিমানা স্থগিত করে বিচারিক আদালতের নথি ১৫ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরপর জামিন আবেদনের শুনানি শেষে ২৫ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের যে নথি ১৫ দিনের মধ্যে চাওয়া হয়েছে তা আসার পর খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর আদেশের সময় নির্ধারণ করেছিলেন।
ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে খালেদাপুত্র ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে দণ্ড দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার ১১দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রায়ের সার্টিফায়েড কপি বা অনুলিপি হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২০ ফেব্রুয়ারি এ আবেদন দায়ের করেন।