Current Date:Nov 28, 2024

ঘণ্টাব্যাপী বিদ্যুৎহীন ‘সোনার তরীতে’ আতঙ্ক

চাঁদপুর প্রতিনিধি : মাঝ মেঘনায় একটি লঞ্চে জেনারেটর বন্ধ হয়ে এক ঘণ্টারও বেশি সময় দুর্ঘটনা আতঙ্কে কাটিয়েছেন যাত্রীরা।

চাঁদপুরের মোহনপুর এলাকায় মঙ্গলবার রাতে ‘এমভি সোনার তরী-৫’ এ এ ঘটনা ঘটে। লঞ্চটি ঢাকা থেকে চাঁদপুর আসছিল।

লঞ্চটি দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে ঢাকা থেকে মঙ্গলবার রাত পৌনে ৮টার দিকে চাঁদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। পথে জেনারেটর বন্ধ হয়ে গেলে পুরো অন্ধকারাচ্ছন্ন লঞ্চটি কয়েকবার দুর্ঘটনা হতে হতে বেঁচে যায়।

পরে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের সহায়তায় লঞ্চটি উদ্ধার করা হয়; আটক করা চালককে।

লঞ্চযাত্রী স্থানীয় সাংবাদিক আলম পলাশ বলেন, রাত ১১টার দিকে জেনারেটর বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও চালক লঞ্চ চালাচ্ছিলেন। আলো না থাকায় একটি বালুবাহী লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কা লাগার উপক্রম হয়। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা আতঙ্কে চিৎকার শুরু করে। অল্পের জন্য লঞ্চটি বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায়।

কিন্তু সামনে কোনো কিছু ঠিকমতো না দেখা যাওয়ায় লঞ্চ আবার একটি চরের সঙ্গে ধাক্কা খায় বলে জানান পলাশ।
চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবু বলেন, “ঢাকা থেকে লঞ্চটি ছাড়ার কিছু সময় পর আমি কেবিনে ঘুমিয়ে পড়ি। যখন মোহনপুর এলাকায় চরের সাথে লঞ্চটির ধাক্কা লাগে তখন আমি ভয়ে লাফ দিয়ে উঠি।”

পরে খবর পেয়ে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান ও চাঁদপুর নৌ-থানার ওসি আবুল হাসিম ঘটনাস্থলে গিয়ে লঞ্চটি উদ্ধারের ব্যবস্থা নেন।

রাত ১২টার পর লঞ্চটি উদ্ধার করা হয় বলে তিনি জানান।

জেলা প্রশাসক মাজেদুর বলেন, মাঝনদীতে জেনারেটর নষ্ট হওয়ায় লঞ্চের যাত্রীরা ঝুঁকিতে ছিল। ঘটনাস্থল থেকে লঞ্চের কাগজপত্রসহ চালককে আটক করা হয়েছে। তবে লঞ্চের অন্যান্য কর্মচারীরা পালিয়ে গেছে।

ওসি আবুল হাসিম বলেন, লঞ্চটি অন্ধকার অবস্থায় চাঁদপুরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করলে চরের সাথে ধাক্কা লাগে।

লঞ্চটি বর্তমানে চাঁদপুর ঘাটে রয়েছে। ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চালক দাউদ হোসেন বলেন, “হঠাৎ করে লঞ্চের জেনারেটর নষ্ট হয়ে যায়। আমি আস্তে আস্তে চালাচ্ছিলাম।”

Share