নিজস্ব প্রতিবেদক : নেপালের ত্রিভূবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্তে নিহত ফারুক হোসেন প্রিয়ক ও তার কন্যা প্রিয়ংময়ী তামাররার জানাজা আজ সকালে গাজীপুরের শ্রীপুরের আবদুল আউয়াল কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর আগে রাত ৭টা ৫৬ মিনিটে ফারুক হোসেন প্রিয়ক ও মেয়ে প্রিয়ংময়ী তামাররা মরদেহ আলিফ পরিবহনের অ্যাম্বুলেন্সে করে যখন শ্রীপুরের নগরহাওলা গ্রামের বাড়িতে এসে পৌছে তখন এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য দেখা যায় ফারুকের বাড়িতে। এ সময় ফারুকের স্ত্রী এ্যানি শুধু একটি কথাই বলেন, তোমরা আমার মেয়েকে এনে দাও। আমি আর কিছু-ই চাই না। মা তামাররা তুমি কোথায়?।
আমি কেন মেয়ের শখ পূরণে রাজি হলাম। এসব বলেই অচেতন হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন ফারুকের স্ত্রী আলমুন নাহার এ্যানি। আর এমন দৃশ্যই এখন ফারুকের বাড়ি জুড়ে।
অপরদিকে ফারুকের মা ফিরোজা বেগম এখন যেন কথা বলা বন্ধ হয়ে গেছে। একমাত্র ছেলে ও নাতনি প্রিয়ংময়ীর মরদেহ দেখে নিশ্চুপ হয়ে যান।
এ সময় শেষবারের মতো ফারুক ও তামাররার মরদেহ দেখতে বাড়িতে ভিড় করছেন স্বজনরা। স্বজনদের পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসেন প্রিয়কের বন্ধু-বান্ধবসহ শুভানুধ্যায়ীরা।
উল্লেখ্য, গত ১২মার্চ সোমবার নেপালে বিমান বিধ্বস্তে ফারুক হোসেন প্রিয়ক ও তাঁর শিশু কন্যা পিয়ংময়ী নিহত হয়। গতকাল সোমবার দুপুরে অন্যান্যদের সাথে বাবা ও মেয়ের লাশ দেশে এসেছে।