Current Date:Sep 26, 2024

ওয়ার্নারের কলঙ্কে পুড়ছেন তাঁর স্ত্রী

স্পোর্টস ডেস্ক : টেস্ট কিংবা সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ডেভিড ওয়ার্নার বরাবরই ভীষণ আগ্রাসী। কিন্তু বল টেম্পারিং কলঙ্ক সেই ওয়ার্নারকে আমূল পাল্টে ফেলেছে। সংবাদ সম্মেলনে কেঁদেছেন, কথা বলেছেন ধরা গলায়। ১২ মাস নিষিদ্ধ হওয়ার জ্বালাটা কি শুধুই ওয়ার্নারই টের পাচ্ছেন? না, তাঁর স্ত্রী ক্যানডিস ওয়ার্নারও স্বামীর এই দুঃসময়ের সঙ্গী। এমনকি জীবনসঙ্গীর এই কুকর্মের জন্য ক্যানডিস দুষছেন নিজেকেই!

শনিবারের সংবাদ সম্মেলনে ওয়ার্নার অনেক প্রশ্নেরই জবাব দেননি। বল বিকৃতি-কাণ্ডে দলের কজন খেলোয়াড় জড়িত কিংবা এবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে আগের বিতর্কিত ঘটনাগুলো ওয়ার্নারকে এ কাজে প্রভাবিত করেছে কি না—এসব প্রশ্নের কোনো জবাবই দেননি অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই সহ-অধিনায়ক। তবে ওয়ার্নার কিছু বলতে না পারলেও তাঁর স্ত্রী কিন্তু মুখ খুলেছেন।

ওয়ার্নারের সেদিনকার সংবাদ সম্মেলন প্রসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমকে ক্যানডিস বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, সে যা যা বলতে চেয়েছিল পারেনি। সে ভীষণ কষ্টে আছে। কোনো কিছু চিন্তা করার মতো অবস্থায়ও নেই ও।’ স্বামীর এই বিধ্বস্ত অবস্থার জন্য ক্যানডিসের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি নিজেই। ক্যানডিসের বক্তব্য, ‘মনে হচ্ছে, সব ভুল আমারই এবং এটা ভেবে শেষ হয়ে যাচ্ছি—সত্যিই শেষ হয়ে যাচ্ছি। আমি সত্যিই ভালো নেই। সবাই যদি বুঝতে পারত…যে মাসটা সে পার করল, সেটা বুঝে সবাই যদি একটু সমব্যথী হতো।’

ওয়ার্নারের সঙ্গে পরিচয়ের বেশ আগে নিউজিল্যান্ডের রাগবি খেলোয়াড় সনি বিল উইলিয়ামসের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার দর্শকেরা এ ব্যাপারে ওয়ার্নার ও তাঁর স্ত্রীকে মানসিকভাবে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছিল। টেস্ট চলাকালে ক্যানডিস নিজেও এ নিয়ে দর্শকদের বিদ্রূপের শিকার হন। দর্শকদের অনেকে আবার বিলের মুখোশ পরে এসেছিল মাঠে।

দর্শকদের এই ঠাট্টা-বিদ্রূপ নিয়ে ক্যানডিসের বক্তব্য, ‘মুখোশ পরে আমার দিকে ইঙ্গিত করা, বিদ্রূপ করতে আমাকে নিয়ে গান গাওয়া—সেখানে (মাঠ) বসে আমাকে এসব সহ্য করতে হয়েছে। খেলা শেষে ডেভ বাসায় ফিরে দেখত আমি শোয়ার ঘরে কাঁদছি। আর মেয়েরা ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকত। এসবের মধ্য দিয়েই তাঁকে (ওয়ার্নার) যেতে হয়েছে। আজ যেমন বাসার কক্ষে বসে কাঁদছিলাম, মেয়েদেরও মন খারাপ। তাঁরা বলতে চায়, “মা, তুমি কাঁদছ কেন?” একটা কিছু বলে বোঝাতে হয়েছে…তবে ওদের বোঝানো সত্যিই অনেক কঠিন। বুঝতে চায় না।’

ক্যানডিস বোঝাতে চেয়েছেন, এসব মিলিয়ে প্রচণ্ড চাপে ছিলেন তাঁরা। ওয়ার্নারও মানসিকভাবে বেশ বিপর্যস্ত ছিলেন। আর তাই হয়তো জিততে মরিয়া হতে গিয়ে বল টেম্পারিং করেছেন। তবে স্বামীর ভুলের জন্য ক্যানডিস কোনো অজুহাত দেননি। শুধু এতটুকু বলেছেন, ‘ডেভ যতটা সম্ভব আমাকে এবং বাচ্চাদের সুরক্ষার চেষ্টা করেছে।’

Share