নিজস্ব প্রতিবেদক : বিভিন্ন উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে যেসব কার্ড পাঠানো হয় সেগুলো অটিস্টিক শিশুদের হাতে আঁকা ছবি থেকে তৈরি। এমনকি যে শিশুরকার্ড প্রধানমন্ত্রী পছন্দ করেন তাকে এক লাখ টাকা সম্মানি হিসেবে দেওয়া হয় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ সোমবার বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন উৎসবে মানুষের কাছে আমি যেসব কার্ড পাঠাই,অটিস্টিক শিশুদের আঁকা কার্ড পাঠাই। যার কার্ড নেই তাকে এক লাখ করে টাকাও প্রদান করি সম্মানী হিসেবে। এভাবেই আমি কয়েক বছর থেকে অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী শিশুদের হাতে আঁকা ছবি দিয়েই শুভেচ্ছা কার্ড বানিয়ে তা পাঠিয়ে আসছি।’
প্রতিটি অনুষ্ঠান কিংবা উৎসবে প্রধানমন্ত্রীর কার্ড সাধারণত ২০ থেকে ২৫ হাজার কপি ছাপানো হয়। অটিজম বিষয়ে সরকারের ভূমিকা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অটিজমের ওপর একটা রেজ্যুলেশনও গ্রহণ করেছে জাতিসংঘ। শুধু আমাদের দেশেই নয়, বিশ্বব্যাপী একটা সচেতনতা শুরু হয়েছে। আমাদের দেশেও অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন লোকদের জন্য প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে একটা কমপ্লেক্স তৈরি করতে চাই। মৃত্যু পর্যন্ত অটিস্টিক হয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে এখানে। সূচনা ফাউন্ডেশন নামে একটি ফাউন্ডেশনও করে দিয়েছে। আমাদের উদ্দেশ্য হলো,প্রতিবন্ধীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।’
সুযোগ পেলে অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধীরাও দেশের জন্য ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘আমাদের সুস্থ খেলোয়াড়রা আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে স্বর্ণ নিয়ে আসতে পারে না কিন্তু প্রতিবন্ধী খেলোয়াররা বিদেশ থেকে দেশের জন্য স্বর্ণ জিতে নিয়ে আসে। আমরা সাভারে ২৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রতিবন্ধী ক্রীড়া কমপ্লেক্স গড়ে তুলছি। জাতীয় সংসদ প্রাঙ্গণেও তাদের খেলার জন্য জায়গার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন,‘আমরা এক লাখ ২৫ হাজার প্রতিবন্ধীকে ভাতা দিচ্ছি। প্রতিবন্ধী শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা হয়েছে।’
এসময় অটিস্টিক শিশুদের প্রতিভার বিকাশে দেশের বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।