নিজস্ব প্রতিবেদক : ব্যাংক থেকে হঠাৎ বিএনপি নেতাদের ১২৫ কোটি টাকা উত্তোলন কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রেখেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
তিনি বলেন, এক সঙ্গে এত টাকা উত্তোলন কোন ষড়যন্ত্রের কারণে, এটা খুঁজে দেখার দায়িত্ব সরকারের আছে।
বুধবার বিকালে রাজধানীর গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে জাতীয় শ্রমিক লীগের ২৬ মার্চের আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
হানিফ বলেন, বিএনপি নেতাদের দুদক তলব করেছে। বৈধভাবে টাকা খরচ করে থাকলে আপনাদের ভয় কিসের? দুদক তো নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে তার প্রমাণ এই সরকারের এমপি মন্ত্রীদেরও তলব করছে দুদক।
তিনি বলেন, দুদকের এই তদন্তে তাদের (বিএনপির) মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা বলছে সরকার দুদক দিয়ে বিএনপি নেতাদের চরিত্র হনন করছে।
বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, যার চরিত্র বলে কিছুই নেই সেই মওদুদ সাহেব বলেছেন এই কথা। কোন মুখে আপনি এই কথা বলেন? কিভাবে আপনি বলেন, সরকার দুদক দিয়ে বিএনপি নেতাদের চরিত্র হনন করছে? তিনি বলেন, আসলে বিএনপি নামের দলটির চরিত্র তো বহু আগেই হারিয়ে ফেলেছে। বাংলাদেশের মানুষকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি করার সুযোগ নেই।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আন্দোলনের মাধ্যমে জেল থেকে মুক্ত করা হবে-বিএনপি নেতাদের এমন হুমকির জবাবে হানিফ বলেন, আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কোনো সুযোগ নেই। আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে রায় পরিবর্তন করা যায় না। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কোনো নজির নেই। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমেই আপনাদের যেতে হবে।
হানিফ বলেন, আন্দোলন করে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবে না। যারা এমন দিবাস্বপ্ন দেখছেন, হুমকি দিচ্ছেন তাদের স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আইনি লড়াই ছাড়া খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার দ্বিতীয় কোনো পথ নেই। দুর্নীতিবাজ নেত্রীকে মুক্ত করার আন্দোলন বাংলাদেশের জনগণ বরদাশত করবে না।
জাতীয় শ্রমিক লীগ মহানগর শাখার সভাপতি সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, জাতীয় শ্রমিক লিগের সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম।