ডিম দেখতে ছোট কিন্তু প্রোটিনের বড় উৎস। ভাজা, সিদ্ধ, রান্না, পোচ- নানাভাবে দিনের যেকোন সময় খাওয়া যায় ডিম। এতে ক্যালরি থাকে কম এবং দীর্ঘ সময় এটি শরীরকে তৃপ্ত রাখে।
তবে সবাই ডিম খেতে পারেন না। অনেকে আমিষ এড়িয়ে চলেন। অনেকের আবার ডিমে অ্যালার্জি বাড়ে। তবে অনেক খাবার আছে যেগুলোতে ডিমের চেয়েও বেশি প্রোটিন পাওয়া যায়।
যেমন, মুরগীর মাংস; এতে রয়েছে উচ্চ মানের প্রোটিন। এক কাপ রান্না মুরগীর মাংসে থাকে ২২ গ্রাম প্রোটিন; যা ডিমের চেয়ে বেশি। মুরগীর মাংস খেতেও সুস্বাদু এবং বিভিন্নভাবে এটি রান্না করা যায়।
পনিরেও প্রচুর প্রোটিন রয়েছে। এতে ক্যালরিও থাকে খুব কম। অন্যান্য দুগ্ধ জাতীয় খাবারের চেয়ে পনির তুলনামূলক সহজপ্রাপ্য। চার আউন্স পনিরে ১৪ গ্রাম প্রোটিন থাকে, যা একটি ডিমের চেয়ে বেশি।
পিৎজা তৈরিতে সাধারণত মোজারেলা এবং শেডার ধরনের পনির ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের এক আউন্স পনিরে ৬ দশমিক ৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে। পনির শুধু প্রোটিন সমৃদ্ধই নয়, এটি ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটেরও উৎস, যা হাড় গঠনে সহায়তা করে। এ কারণে পিৎজাকে সবসময় অস্বাস্থ্যকর খাবার বলা হয় না।
এছাড়া, মটরশুটি, শিমের বীজ ও কালো মটরশুটিতে প্রচুর প্রোটিন, আয়রন ও পটাশিয়াম থাকে। সিদ্ধ করার পরও এসব খাবারে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। সাধারণত এক কাপ সিদ্ধ মটরশুটি কিংবা শিমের বীজে ৭ দশমিক ৩ গ্রাম প্রোটিন মেলে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এসব খবার। সূত্র: এনডিটিভি