নিজস্ব প্রতিবেদক:
আওয়ামী লীগ ২২তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সাদা পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সম্মেলনস্থলে প্রবেশের পর জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। একই সময় দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। একই সময় প্রতিটি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি জাতীয় পতাকা এবং সাধারণ সম্পাদক দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এসময় পরিবেশন করা হয় জাতীয় সংগীত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লাল-সবুজের জামদানি শাড়ি পরে সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। তার শাড়িতে লাল ও সবুজ রঙের নৌকা বুননের কাজ রয়েছে
জাতীয় সংগীত এর পরপরই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শান্তির প্রতীক পায়রা এবং রঙিন বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এর পরপরই তিনি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে সঙ্গে নিয়ে নৌকা আকৃতির মঞ্চে তার নির্ধারিত আসনে গিয়ে বসেন। নিজের আসনে বসার আগে তিনি মঞ্চে উঠে হাত উচিয়ে সবাইকে অভিবাদন জানান। এসময় শ্লোগানে সম্মেলনস্থল মুখরিত হয়ে ওঠে। এর আগেই কেন্দ্রীয় নেতারা সম্মেলন মঞ্চে তাদের নির্ধারিত আসনে বসেছিলেন।
এর আগেই সম্মেলনস্থলে এসেছেন সারা দেশ থেকে দলটির সাংগঠনিক জেলা-মহানগর শাখার সাড়ে ৮ হাজার কাউন্সিলর এবং ২৫ হাজার ডেলিগেট। সকাল ৭টা থেকে তারা সম্মেলনস্থলে আসতে শুরু করেন তারা। ৮টার পর থেকে দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে সম্মেলনে প্রবেশের প্রতিটি গেটে।
সম্মেলনস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের জন্য পাঁচটি গেট রয়েছে। এরমধ্যে শিখা চিরন্তনের দিকে গেট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ ভিআইপি অতিথিরা প্রবেশ করবেন। বাকি ৪টি গেট দিয়ে কাউন্সিলরদের প্রবেশ করছেন।
আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন জেলা ও মহানগরের কাউন্সিলর ও ডেলিগেটদের মাঝে কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা থেকে শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) পর্যন্ত দলীয় সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ কার্ড বিতরণ করা হয়।
বিভিন্ন জেলা থেকে আসা কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা জানিয়েছেন, তারা সম্মেলনটি বিদ্যমান পরিস্থিতির গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় কী বার্তা দেন নেত্রী, সেটা শোনা এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছেন তারা। সম্মেলন শেষে আবার নিজ জেলায় ফিরে যাবেন তারা।