আদালত প্রতিবেদক: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের মামলার বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিননামা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার ঢাকা সিএমএম আদালত থেকে জামিননামা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়েছে সিএমএম আদালতের মুন্সিখানা। মুন্সিখানার জুডিশিয়াল পেশকার ওমর ফারুক তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
এদিন ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী ওই জামিননামায় স্বাক্ষর করার পর তা কারাগারে পাঠানো হয়। সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর জামিননামায় সানাউল্লাহ মিয়া আইনজীবী এবং স্থানীয় জামিনদার হয়েছেন অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার।
এর আগে গত ১৬ মে ওই আদালতে আইনজীবীরা জামিননামা দাখিলের অনুমতির চান। কিন্তু ওইদিন আপিল বিভাগের জামিন বহাল রাখার আদেশ আদালতে না পৌঁছানোয় জামিননামা গ্রহণ করা হয়নি।
সম্প্রতি আপিল বিভাগের আদেশ পৌঁছানোর পর রোববার তা পর্যালোচনা করে জামিননামা গৃহীত হয়।
গত ১২ মার্চ হাইকোর্ট মামলাটিতে খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন। জামিনের ওই আদেশ গত ১৩ মার্চ সিএমএম আদালতে জেপি শাখায় পোঁছায়। এর পর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করায় তা স্থগিত হয়ে যায়।
গত ১৬ মে আপিল বিভাগ চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্টের জামিন বহাল রেখে রায় দেন। রায়ে একই সঙ্গে আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে হাইকোর্টের আপিল নিষ্পত্তিরও নির্দেশ দেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান ওই মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেন। রায়ের পর ওইদিনই তাকে পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিনের রোর্ডের কারাগারে নেওয়া হয়। এর পর থেকে তিনি ওই কারাগারেই আছেন।
এদিকে জিয়া অরফানেজ মামলার জামিননামা কারাগারে গেলেও খালেদা জিয়া এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না। কারণ তিনি এখন কারাগারে কমপক্ষে আরও চারটি মামলায় গ্রেপ্তার রয়েছেন। ওই মামলাগুলোয় জামিন হওয়ার পরই তার মুক্তি সম্ভব হবে। দৈ,আ,স