নিজস্ব প্রতিবেদক : অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে অভিযুক্ত তরুণ সেলফ রেডিক্যালাইডজ হয়ে হামলা করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক-আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
তিনি বলেছেন, এখন পর্যন্ত বোঝা যাচ্ছে যে, সে (হামলাকারী) সেলফ রেডিক্যালাইডজ হয়ে এ হামলাটি চালিয়েছে। হামলাকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার খুব বেশি সুযোগ হয়নি। আমরা তদন্ত করছি, এই ঘটনার মূল উদঘাটন করব।
সোমবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র সমাবেশ ও কনসার্ট অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে আইজিপি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা হামলাকারীকে জনগণ ও শিক্ষার্থীদের সহায়তায় গ্রেফতার করেছি। হামলাকারীর বিষয়ে জানতে তার পরিবার ও স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেয়া হয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আছাদ্দুজ্জামান মিয়া।
উল্লেখ্য, শনিবার বিকালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চের এক অনুষ্ঠানে ড. জাফর ইকবালকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
এ সময় ফয়জুল হাসান (২৪) নামে এক তরুণকে হাতেনাতে ধরে ফেলে শিক্ষার্থীরা।
ফয়জুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন শেখপাড়ার কাঁচা মঞ্জিলের স্বত্বাধিকারী হাফিজ আতিকুর রহমানের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল ইউপির কালিয়ারকাপন গ্রামে।
ফয়জুল নগরীর জিন্দাবাজারের রাজা ম্যানশনের দ্বিতীয় তলার মঈন কম্পিউটারে কর্মরত ছিলেন। তার বাবা শহরতলির টুকেরবাজার এলাকার শাহ খুররুম মখলিছিয়া হাফিজিয়া মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক। ফয়জুল নিজেকে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দিলেও কোন মাদ্রাসায় পড়ত তা কাউকে বলেননি। মাঝে মাঝে ফয়জুলকে ফেরি করে কাপড় বেচতেও দেখা গেছে।
বছরখানেক আগে কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডে পকেট মারতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন ফয়জুল। তখন স্থানীয়রা তার ব্যাপারে কড়া হুশিয়ারি দিয়েছিল তার বাবাকে। এলাকা ছেড়ে চলে যেতেও বলা হয়েছিল। এর পর থেকে তাকে আর তেমন একটা দেখা যায়নি।