Current Date:Nov 23, 2024

ঝড় ও শিলাবৃষ্টির তাণ্ডবে নিহত ৬, আহত ৩শ’

চৈত্রের আকস্মিক ঝড় ও শিলাবৃষ্টির তাণ্ডবে শুক্রবার দেশের অন্তত ১৮ জেলায় সহস্রাধিক ঘরবাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। বৃহদাকার শিলা ও বাজ পড়ে রংপুর, দিনাজপুর, সিলেট, মাগুরা ও ভৈরবে মারা গেছেন ৬ জন। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ৩শ’ মানুষ। তাদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এছাড়া ঝড়ে বহু গবাদিপশুও মারা গেছে। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে আম, লিচুসহ বিভিন্ন ফসলের। নষ্ট হয়েছে কৃষকের স্বপ্নের বোরো ধান। প্রচণ্ড বাতাসে উপড়ে পড়েছে বহু গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি। এতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয় বিভিন্ন এলাকা। শিলাবৃষ্টিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেছে শত শত ঘরের টিনের চালা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় মানুষের হাহাকার নেমে আসে।

শুক্রবার বিকালে রাজধানী ঢাকায়ও ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে বজ্রবৃষ্টি হয়েছে। এ সময় কালো মেঘে অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশ তৈরি হয়। বৈরী আবহাওয়ায় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংকের ‘ক্যাশ কর্মকর্তা’ পদে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। বিমান চলাচলেও সাময়িক বিঘ্ন ঘটে। ব্যুরো ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

দিনাজপুর : পার্বতীপুরে মাথায় শিলাবৃষ্টির আঘাতে মারা গেছেন সৈয়দ আলী (৫৫) নামে এক ব্যক্তি। তিনি উপজেলার চন্ডীপুর ইউনিয়নের চৈতাপাড়া গ্রামের মৃত লাল মোহাম্মদের ছেলে। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। মারা গেছে শতাধিক গবাদিপশু। শুক্রবার দুপুরে শুরু হয় ঝড় ও শিলাবৃষ্টি। জেলার ১৩টি উপজেলার প্রায় সবকটিতে এই ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হলেও বেশি ক্ষতি হয়েছে পার্বতীপুর, নবাবগঞ্জ ও চিরিরবন্দরে। এই কয়েকটি উপজেলার হাজার হাজার একর জমির গম, ভুট্টা, বোরো ক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসল এবং আম ও লিচুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে শত শত ঘর-বাড়িরও ক্ষতি হয়। জেলা প্রশাসক আবু নঈম মো. আবদুছ ছবুর জানান, নিহতের পরিবারকে তাৎক্ষণিকভাবে ৫ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

রংপুর ও পীরগঞ্জ : নগরীসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রচণ্ড ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এ সময় বজ্রপাতে দু’জন মারা গেছেন। অপরদিকে ঝড়ে ঘরবাড়ি ও গাছপালা উপড়ে কমপক্ষে ৬০ জন আহত হয়েছেন। বজ্রপাতে মারা যাওয়া শামিমের বাড়ি বদরগঞ্জ ও নয়া মিয়ার বাড়ি তারাগঞ্জ। তারা দু’জন ক্ষেতমজুর। মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে মারা যান। জানা গেছে, দুপুর ১২টার দিকে প্রচণ্ড ঝড় রংপুর নগরী ছাড়াও গঙ্গাচড়া, পীরগঞ্জ, মিঠাপুকুর, তারাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আঘাত হানে। শিলাবৃষ্টিতে বোরো ধানক্ষেত, ভুট্টাসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে বেশি ক্ষতি হয়েছে পীরগঞ্জ ও মিঠাপুকুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।

মাগুরা : বিকালে হঠাৎ ঝড় এবং শিলাবৃষ্টির কবলে পড়ে আকরাম হোসেন নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছেন। ক্ষেতে কাজ করার সময় বৃহদাকার শিলার আঘাতে মারাÍকভাবে আহত হন তিনি। পরে এলাকাবাসী উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন। এছাড়া ঝড়ো বাতাসে বহু গাছপালা ও ২০টি কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে।

ভৈরব : বিকালে বজ্রপাতে মো. আলমগীর (২৫) নামে এক যুবক মারা গেছেন। তার বাবার নাম আবুল কালাম। বাড়ি ভৈরবের ভবানীপুর গ্রামে। নিহত যুবক এলাকার একজন কৃষক বলে জানা গেছে। ঘটনার সময় তিনি জমিতে কৃষি কাজে ব্যস্ত ছিলেন বলে পরিবারের সদস্যরা জানান।

নীলফামারী, ডিমলা ও ডোমার : ডোমার, ডিমলা, সৈয়দপুর ও জলঢাকা উপজেলায় শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে শিলাবৃষ্টিতে ফসল ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ৪টি উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের তিন শতাধিক বসতবাড়ির টিনের চাল শিলার আঘাতে ফুটো হয়ে গেছে। শিলাবৃষ্টিতে আহত হয়েছেন তিনজন। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে ভারি শিলাবৃষ্টির কারণে ভুট্টা, মরিচ, পেঁয়াজ ও বোরোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

সিলেট, ওসমানীনগর ও গোলাপগঞ্জ : সিলেট ঝড়ে চটপটির টং দোকান উড়ে মোটরসাইকেল আরোহী দক্ষিণ সুরমা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোসাদ্দেক হোসেন মুসার ওপর পড়লে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হলেও অবস্থার উন্নতি হয়নি। পরে তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পাঠানো হয়।

ওসমানীনগরে স্মরণকালের ভয়াবহ কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় পুরো এলাকা। শুক্রবার বিকালে প্রায় ২০ মিনিট স্থায়ী ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউপিতে শত শত গাছ উপড়ে পড়ে। ঝড়ের তাণ্ডবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শতাধিক ঘরের টিনের চালা উড়ে যায়।

এ সময় তাজপুর ইউপির দশহাল গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে নির্মাণাধীন একটি ঘরের টিন উড়ে গিয়ে গলা কেটে সাবিয়া বেগম (৪৫) নামের এক নারী ঘটনাস্থলেই মারা যান। নিহত সাবিয়া বালাগঞ্জ উপজেলার বোয়ালজুর ইউপির সোনাপুর গ্রামের খালিছ মিয়ার স্ত্রী।

এদিকে ঝড়ে উপজেলার পল্লী বিদ্যুতের ৯টি ফিডার লাইনের অর্ধশতাধিক খুঁটি উপড়ে পড়ে ও বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে গিয়ে গোটা উপজেলা অন্ধকারে পতিত হয়। এর আগে বুধ ও বৃহস্পতিবার রাতে গোলাপগঞ্জ উপজেলায় আঘাত হানে ঝড়।

দু’দিনের ঝড়ে উপজেলার নিম্নাঞ্চল শরীফগঞ্জ, বুধবারীবাজার, ভাদেশ্বরের একাশ ও বাদেপাশা ইউনিয়নের প্রায় দুই শতাধিক ঘর লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। ভাদেশ্বর ও শরীফগঞ্জে কয়েকটি বিদ্যুতের খুঁঁটি ও গাছপালা উপড়ে পড়েছে। এতে অন্ধকারে রয়েছেন ১০-১২টি গ্রামের মানুষ। এছাড়া শরীফগঞ্জ এলাকার হাকালুকি হাওর ও লম্বা বিলের দুই একর বোরো ধান একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। এ এলাকার লোকজন বাড়িঘর হারিয়ে হাহাকার করছেন।

লালমনিরহাট : শুক্রবার সকালে লালমনিরহাটের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শিলাবৃষ্টিতে ঘর-বাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ সময় শিলের আঘাতে অন্তত অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশু আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা এটিকে স্মরণকালের ভয়াবহ শিলাবৃষ্টি বলে দাবি করেছেন।

এমন শিলাবৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে জেলার হাতীবান্ধা উপজেলায়। সেখানে বিভিন্ন গ্রামের প্রায় সব বাড়ি ভারি শিলার আঘাতে ঘরের টিনের চাল ঝাঁজরা হয়ে গেছে। ফলে ঘরে থাকা মানুষজন শিলের আঘাতে আহত হয়েছেন।

এদের মধ্যে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়া আহতরা হলেন- উপজেলার টংভাঙ্গা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের স্ত্রী মাহমুদা, মৃত আমিনুরের স্ত্রী মোমেনা, এনসানের স্ত্রী জাহানারা বেগম, মৃত আজ্জুল হোসেনের পুত্র মাজেদুল ইসলাম, পশ্চিম বেজ গ্রামের মৃত আবদুর রাজ্জাকের স্কুল পড়–য়া পুত্র মিজানুর, বাড়াই পাড়া গ্রামের শ্রী সিদেন চন্দ্রের পুত্র কঙ্কন রায়, খাইরুলের শিশুপুত্র ইমরান ও উপজেলার নিজ শেখ সুন্দর এলাকার মাহবুব আলমের কন্যা রোজিনা।

পশ্চিম বেজগ্রামের গৃহবধূ লাভলী আক্তার জানান, সকালে শিলাবৃষ্টি শুরু হলে তিনি তার শিশুকন্যা দিশাকে নিয়ে ঘরেই আশ্রয় নেন। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে আকাশ থেকে পরা শিলের আঘাতে ঘরের টিনের চাল ফুটো হলে প্রথমে খাটের নিচে ও পরে দৌড়ে গিয়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নেন।

চাটমোহর ও সুজানগর (পাবনা) : পাবনার চাটমোহরে দুপুরে ঝড়, বৃষ্টি ও শিলের আঘাতে অন্তত ১৩০ জন নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন। এছাড়া ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শিলের আঘাতে শতাধিক নারী-পুরুষ রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ছুটে আসেন। আহতদের মধ্যে অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এছাড়া অনেকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিয়েছেন। রোগীদের ভিড় সামলাতে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরাও হিমশিম খান। হাসপাতালের ভেতরে কান্নার রোল পড়ে যায়।

চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মো. আসাদুল ইসলাম মণ্ডল যুগান্তরকে জানান, বেশির ভাগ রোগী শিলের আঘাতে রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। সুজানগরেও ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে বাড়িঘর, লিচু ও আম বাগানসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

পঞ্চগড় : শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত দু’দফায় ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এ সময় পঞ্চগড়ে ঝড়োবাতাসের সঙ্গে প্রবল বর্ষণও হয়। জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ে। শিলাবৃষ্টিতে বিভিন্ন স্থানে কৃষকের লাগানো টমেটো, ভুট্টা, তরমুজ, মরিচ ও গমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

গাইবান্ধা : গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ী, সাঘাটা ও সদর উপজেলায় শুক্রবার দুপুরে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে উঠতি বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসল এবং আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গোবিন্দগঞ্জ প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, একেকটি শিলার ওজন পৌনে এক কেজি পর্যন্ত।

ঠাকুরগাঁও : দুপুরে ঝড়োহাওয়া ও প্রচণ্ড শিলাবৃষ্টি হয়েছে। জেলার হরিপুর উপজেলার বরুয়াল ও বনগাঁ গ্রামের সহস্রাধিক ঘরবাড়ি ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

শেরপুর : ঝিনাইগাতী উপজেলায় ঝড় ও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। দুপুরে উপজেলার ওপর দিয়ে প্রচণ্ড বেগে বয়ে যাওয়া ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বোরো ধান, আম-লিচুর মুকুল ও সবজি ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে ও গাছের ডাল ভেঙে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) : শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে চৈত্রের খরায় হঠাৎ আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে হালকা বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর বৃষ্টি বাড়তে থাকে সেই সঙ্গে ঝড়ও শুরু হয়। ১৫ মিনিটের ঝড়ে বহু আমগাছের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ঘরবাড়ি ও ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

কুড়িগ্রাম, ফুলবাড়ী ও নাগেশ্বরী : নাগেশ্বরী ও ফুলবাড়ী উপজেলার কিছু এলাকায় আকস্মিক শিলাবৃষ্টির তাণ্ডবে উঠতি ফসলসহ ঘরবাড়ি ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টা ও বিকাল ৩টায় দু’দফায় প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলে এ তাণ্ডব। ফুলবাড়ীর নাওডাঙ্গা গ্রামের কৃষক পুলিন চন্দ্র বর্মণ বলেন, দুই বিঘা জমিতে পটলের ক্ষেত লাগিয়েছেন। শিলাবৃষ্টিতে পুরো ক্ষেতই লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।

গুরুদাসপুর ও বড়াইগ্রাম (নাটোর) : গুরুদাসপুরে বজ্রপাতে ৯ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে দুপুরে ব্যাপক শিলাবৃষ্টিতে ঘরবাড়ি, পান বরজ, লিুচ ও আমসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ সময় শিলার আঘাতে কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন। জোনাইল, বড়াইগ্রাম ও নগর ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামে শিলার আঘাতে প্রায় দেড় শতাধিক বাড়ির টিনের চাল ছিদ্র হয়ে গেছে।

শিবগঞ্জ : দুপুর দেড়টার দিকে হঠাৎ ঝড় শুরু হয়ে চলে আড়াইটা পর্যন্ত। ধূলিঝড়ে নাস্তানাবুদ হয়েছেন শহরবাসী। আর গ্রামাঞ্চলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে ঝড়ের কারণে অনেক এলাকায় গাছ থেকে আমের মুকুল ঝরে পড়েছে। ঝড়ের কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সাময়িক বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। বিকাল সোয়া ৪টার দিকে ধীরে ধীরে আবারও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।

রাজশাহী : বিকাল ৩টা থেকে শুরু হওয়া ঝড় প্রায় ৩০ মিনিট স্থায়ী হয়। হঠাৎ ঝড়ে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেই সঙ্গে ধুলার কারণে পথচারীদের পড়তে হয়েছে বিড়ম্বনায়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর রাজশাহীর উপ-পরিচালক দেব দুলাল ঢালী বলেন, ঝড়ে আমের মুকুল ঝরে পড়ায় কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তবে লাভও হয়েছে। কারণ বৃষ্টির কারণে মুকুলের বোঁটা শক্ত হবে। আম টিকবে বেশি।

ধামরাই (ঢাকা) : বিকালে ঢাকার ধামরাইয়ে হঠাৎ মুষলধারে বৃষ্টি ও প্রবল ঝড়ে ঘরবাড়ি, গাছপালা, শাকসবজি ও উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দুই শতাধিক ইটভাটার কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে গেছে।

Share