Current Date:Oct 2, 2024

ইরানকে ‘প্লান বি’-এর হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পরমাণু ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে মুখোমুখি অবস্থান করছে। এবার ট্রাম্প প্রশাসন ‘প্লান বি’ এর মাধ্যমে ইরানের প্রতি কঠিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে। আর এই ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। ইরান বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির নতুন এ পরিকল্পনা পম্পেও অতি দ্রুত প্রকাশ করবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল ওয়াশিংটনে এক ভাষণে বলেন, এই নিষেধাজ্ঞার পর নিজেদের অর্থনীতি বাঁচিয়ে রাখতে হিমশিম খাবে ইরান। দেশটি তাদের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা পরিত্যাগ করা, ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ করা এবং প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা বন্ধ করাসহ যুক্তরাষ্ট্রের সব দাবি মেনে না নিলে এ নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়বে বলেছেন পম্পেও।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ৮ মে ইরান পরমাণু চুক্তি থেকে সরে এসে দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের ঘোষণা দেওয়ার পর পম্পেও এ কড়া বার্তা দিলেন।

২০১৫ সালের জুনে তেহরানের সঙ্গে পরমাণু ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রসহ ৬ জাতিগোষ্ঠীর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ৮ মে ইরানের বিরুদ্ধে সমঝোতা ক্ষুণের অভিযোগ তুলে পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদিও ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জয়েন্ট কমপ্রিহেন্সিভ প্লান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) নামের এ চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

পম্পেও আরও বলেন, ইরান যদি তাদের নীতিতে পরিবর্তন আনে তবেই নিষেধাজ্ঞায় পরিবর্তন আসতে পারে। তিনি বলেন, আমরা তাদের প্রচণ্ড অর্থনৈতিক চাপে রাখব। গতকালের ভাষণে পম্পেও ইরানকে ১২টি শর্ত বেঁধে দেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- সিরিয়া থেকে সব সেনা প্রত্যাহার ও ইয়েমেনের বিদ্রোহীদের অর্থায়ন বন্ধ করা। আন্তর্জাতিক আণবিক বিদ্যুৎ সংস্থাকে তাদের পারমাণবিক পরীক্ষার বিস্তারিত জানানো ও এই পরীক্ষা বন্ধ করা, প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি হুমকির আচরণ বন্ধ করতে হবে। ইসরায়েলকে ধ্বংস করা, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে মিসাইল হামলার হুমকি বন্ধ করা এবং আটক মার্কিন নাগরিকদের মুক্তি দেওয়ার শর্তও দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

Share