অনলাইন ডেস্ক : খুলনায় হত্যা মামলায় নারীসহ একই পরিবারের ৪ এবং ঝালকাঠি আদালতে যশোরের মাদক ব্যবসায়ীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে পৃথক পৃথক আদালত এসব রায় দেন।
খুলনা: খুলনায় দিনমজুর ফজলু (২৭) হত্যা মামলায় নারীসহ একই পরিবারের ৪ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে ১০হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ১বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এমএ রব হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- রূপসা উপজেলার নৈহাটী গ্রামের মৃত মোকাম শেখের ছেলে ইসহাক শেখ (৬০), ইসহাক শেখের স্ত্রী চেলী বেগম ওরফে সেলিনা বেগম (৫০), তার ছেলে আনিস শেখ (৩০) ও ইউনুস শেখ (৩৫)। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে তিনজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আসামি ইউনুস শেখ পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, জমিজমা সংক্রান্তের জের ধরে ২০০৩ সালের ২৩ মার্চ সন্ধ্যায় রূপসা উপজেলার নৈহাটী পুর্বপাড়ার রাস্তায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে দিনমজুর ফজলুকে হত্যা করা হয়। নিহত ফজলু গ্রামের মৃত আফসার শেখের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের মা কুলসুম বেগম বাদী হয়ে রূপসা থানায় ৪জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঝালকাঠি: ঝালকাঠিতে যশোরের মাদক ব্যবসায়ী মো. হাসান উদ্দিনকে (৩৪) মাদক মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। ১৯৯০ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) টেবিলের ৩(খ) ধারায় এ দণ্ড প্রদান করা হয়েছে। হাসান উদ্দিন যশোরের রামচন্দ্রপুর গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে। গত সোমবার ঝালকাঠি অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক এসকেএম তোফায়েল হাসান এ রায় দেন। আসামি হাসান পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সনে ৫ ডিসেম্বর সন্ধায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বরিশাল র্যাব-৮ এর ডিএডি মামুনুর রশিদ ঝালকাঠি শহরের কৃষ্ণকাঠি পেট্রোল পাম্প মোড়ে তালুকদার ট্রেডার্সের সামনে অবস্থান নেয়। এসময় সেখান থেকে মাদক বিক্রেতা হাসান উদ্দিন তৈল ভর্তি প্লাস্টিক কনটেইনারের ভিতরে একাধিক পলিথিনের প্যাকেটে মোট ১৫ লিটার ফেনসিডিল নিয়ে যাচ্ছিল। এসময় র্যাব হাসান উদ্দিনের দেহ ও কনটেইনার তল্লাশি করে ১৫ লিটার ফেনসিডিল, ১১০টি ফেনসিডিলের বোতল ও লেভেল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় র্যাব ডিএডি মামুনুর রশিদ বাদী হয়ে গত ৫ ডিসেম্বর ২০০৯ তারিখ ঝালকাঠি থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনের উল্লেখিত ধারায় হাসানকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর তদন্তকারী কর্মকর্তা ঝালকাঠি থানার এসআই মাহমুদুর রহমান আসামি হাসানকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে।