অনলাইন ডেস্ক : ফেনী-২ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর পদে থাকার প্রশ্নে জারিকৃত রুলের ওপর হাইকোর্টের তৃতীয় বেঞ্চে শুনানি শেষ হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে রায় ঘোষণা করবেন বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকীর একক বেঞ্চ। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে রায়ের জন্য গত মঙ্গলবার এদিন ধার্য করা হয়।
আদালতে নিজাম হাজারীর পক্ষে আইনজীবী শফিক আহমেদ ও নুরুল ইসলাম সুজন এবং রিটকারীর পক্ষে কামরুল হক সিদ্দিকী ও সত্যরঞ্জন মণ্ডল শুনানি করেন।
‘সাজা কম খেটেই বেরিয়ে যান সাংসদ’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এতে বলা হয়, ২০০০ সালের ১৬ আগস্ট অস্ত্র আইনের এক মামলায় নিজাম হাজারীর ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়। কিন্তু ২ বছর ১০ মাস কম সাজা খেটে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। দণ্ডের মেয়াদের মধ্যেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন ফেনী জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া।
রিট আবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ৬৬(২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুসারে, কোনো ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার এবং সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য হবেন না, যদি তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কমপক্ষে দুই বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত হন এবং তাঁর মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হয়ে থাকে। সে হিসাবে নিজাম হাজারী ২০১৫ সালের আগে সংসদ সদস্য হতে পারেন না। অথচ তিনি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এমপি হয়েছেন। হাইকোর্টের নির্দেশে কারাকর্তৃপক্ষ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এতেও দেখা যায় তিনি আদালতের দেয়া দণ্ড সম্পূর্ণ ভোগ না করে কারসাজির মাধ্যমে জেল থেকে মুক্তি পান।