Current Date:Nov 26, 2024

মাই অস্ট্রেলিয়া ডেইজ: ইয়ামিন হক ববি

বিনোদন ডেস্ক: লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশনে কিছুটা হাঁপিয়ে উঠেছিলাম। আমার প্রযোজিত প্রথম সিনেমা নিয়েও কিছুটা চিন্তায় ছিলাম। দেশের প্রথম সুপার হিরোইন গল্পের ‘বিজলী’ দর্শকরা কীভাবে নেন মনে নানা ভাবনা ভর করে। তবে দর্শকের প্রতি আস্থা ছিল তারা আমাকে নিরাশ করবেন না।

অবশেষে বিগ বাজেটের সিনেমাটি সবাই পছন্দ করেছেন। এবার কিছুটা হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। গেল মাসের শুরুর দিকে ‘বিজলী’র অস্ট্রেলিয়ায় ‘শো’-এর জন্য আমন্ত্রণ পেলাম। সেখানে আমার বোন, দুলাভাই ও দুই ভাগ্নে থাকে। ভাগ্নেদের সব সময়ই মিস করি। এক মুহূর্ত ওদের ছেড়ে থাকতে ইচ্ছে করে না। ওরা দুজন খালামনি বলতে পাগল।

সব মিলে ঠিক করলাম অস্ট্রেলিয়া দিয়েই শুরু হোক বিজলী’র বিশ্বভ্রমণের সূচনা। আমাদের সিনেমার প্রদর্শন ৮ জুলাই হলেও মাসের শেষ দিকেই পাড়ি জমাই। এরপর শুরু হলো ঘুরাঘুরি। সিডনি সুন্দর শহর। বেশ গোছানো ও পরিচ্ছন্ন। সবুজে ঘেরা একটা শহর। সবুজ আমার ভীষণ প্রিয়। মন চায় প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাই।

অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছানোর দুইদিন পর থেকেই শুরু হলো ঘুরাঘুরি। সঙ্গী ভাগ্নে তাহিম ও তুরান। একজনের বয়স ৪ বছর ৩ মাস, আরেকজনের তিন বছর।

ওরাই আমার দিনগুলো অসাধারণ করে দিয়েছে। খালামণির কাছে তাদের আবদারের অন্ত নেই। কোথাও বের হলে মা-বাবাকে ছেড়ে খালামণির সঙ্গেই থাকবে তারা।

এই কয়দিনে সিডনি পার্ক, ওপেরা, ব্রিজবন্ড, বিচ এলাকায় বেড়িয়েছি। ৮ জুলাই ছিল ‘বিজলী’র শো। সিডনির হার্টসভিল সিনেমা হলে শো অনুষ্ঠিত হয়। আমার খুব ভালো লেগেছে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের কোনও সিনেমা দেখার জন্য যখন এত মানুষের ভিড় দেখলাম। এই ভালো লাগাটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। অনেক বিদেশিও আমার অভিনীত ‘বিজলী’ দেখেছেন। শো শুরুর পর থেকেই দর্শকের দারুণ রেসপন্স পেয়েছি।

সেখানে যতটুকু সময় ছিলাম মনেই হয়নি আমি বিদেশে রয়েছি। মনে হচ্ছিল বিদেশ বিভূঁইয়ে এ যেন একখণ্ড বাংলাদেশ। আসলে বিদেশে থাকলে মানুষের দেশের প্রতি ভালোবাসা অনেক বেড়ে যায়। আর তা না হলে কোনোরকম প্রচারণা ছাড়াই এত মানুষ কোথা থেকে এলো। শুধু সিনেমা দেখা নয়, এ যেন নিজের দেশের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।

এভাবেই দেখতে দেখতে অস্ট্রেলিয়ায় আমার কাটানো দিনগুলো ফুরিয়ে গেল। আবারও ফিরতে হবে ব্যস্ত জীবনে। গতকাল শুক্রবার (১৩ জুলাই) দেশে ফিরেছি। দুই ভাগ্নেকে খুব মিস করছি। মনটা এখনও তাদের কাছেই পড়ে আছে।

Share