মানবতাবিরোধী অপরাধ : নোয়াখালীর তিন আসামির ফাঁসির রায়

0
118

নিজস্ব প্রতিবেদক : একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় নোয়াখালীর সুধারামে জামায়াত নেতা আমির আলীসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ মামলার অন্য এক আসামিকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন। আমীর আলী ছাড়া এ মামলার অন্য তিন আসামি হলেন, মো. জয়নাল আবদিন, মো. আব্দুল কুদ্দুস ও আবুল কালাম। আসামি আবুল কালাম পলাতক।

মো. আব্দুল কুদ্দুসকে ২০ বছরের সাজা ও বাকিদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এ রায়ের মধ্য দিয়ে একাত্তর সালে হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ৩১টি রায় দিলেন দুই ট্রাইব্যুনাল।

২০১৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মামলার আসামি ওই চারজনের মধ্যে কারাগারে রয়েছেন আমির আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমির আলী, জয়নাল আবদিন ও আব্দুল কুদ্দুস। পলাতক রয়েছেন আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর। মামলার অন্য আসামি ইউসুফ আলী গ্রেপ্তার হওয়ার পর অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নোয়াখালীর সুধারামে ১১১ জনকে হত্যা-গণহত্যার তিনটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

২০১৬ সালের ২০ জুন অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ চারজনের বিচার শুরু হয়। এর আগে ২০১৪ সালের ১৬ নভেম্বর থেকে গত বছরের ৩০ আগস্ট পর্যন্ত এ মামলায় পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হেলালউদ্দিন। গত বছরের ৩১ আগস্ট তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওইদিনই প্রসিকিউশনের কাছে জমা দেয় তদন্ত সংস্থা।

২০১৫ সালের ০৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম। ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে ওইদিনই নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর থেকে গ্রেপ্তার হন আমির আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমির আলী, জয়নাল আবদিন ও ইউসুফ আলী। পরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গ্রেফতার করা হয় আব্দুল কুদ্দুসকে।