নিউজ ডেস্ক: তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘রাজনীতির ময়দান থেকে অপরাধীদের মাইনাস করতে হবে।’ বৃহস্পতিবার (১২ জুলাই) ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারস ইন্সটিটিউটে প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশের আয়োজনে ‘অনলাইন সার্টিফিকেট কোর্স অন জার্নালিজমে’ সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ইনু বলেন, ‘আমাদের বদভ্যাস আমরা নেতা-নেত্রীদের মহিমান্বিত করি। তাদের অপরাধের সাজা হলে আমরা সহ্য করতে পারি না। কিন্তু ইউরোপ-আমেরিকায় নেতা-নেত্রীরা কারাগারে গেলে কেউ হইচই করে না। দক্ষিণ কোরিয়ার নারী প্রধানমন্ত্রী নীরবে কারাগারে চলে গেলেন কেউ হইচই করলো না, কিন্তু আমরা হইচই করি। তাই গণতন্ত্রের স্বার্থে রাজনীতির ময়দান থেকে অপরাধীদের মাইনাস করতে হবে।’ এসময় এই কাজে রাজনীতিবিদদের সহযোগিতায় সংবাদকর্মীদের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী।
কিছু বিষয়ে কখনও সহবস্থান হয় না জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সহবস্থান হয় না, সামরিক শাসন ও গণতন্ত্র সহবস্থান হয় না। সমাজে যদি দখলদারিত্ব থাকে অপরাধীদের কর্তৃত্ব থাকে, অপরাধীদের সাথে সহবস্থানে থাকার একটা বদভ্যাস তৈরি হয়। তখন সমাজ ধুঁকে ধুঁকে এগোয়। এই যে একটা বদভ্যাস আমাদের রপ্ত হয়েছে তাদের কাছে এই বিয়োগ শব্দটায় একটা ধাক্কা লাগে। তাই যখন পাকিস্তান শাসনামলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গঠনের কথা বলেন তখন যারা পাকিস্তান ও বাঙালিদের সহবস্থানে অভ্যাস্ত তাদের ধাক্কা লেগেছিল।’
সহবস্থান, নিরপেক্ষতার নামে ভারসাম্য রক্ষার নামে একটা অপনীতি গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমে আছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই ভারসাম্য শব্দটা অনেক বিপজ্জনক। ভারসাম্য রক্ষার অপনীতি থেকে সাংবাদিকতাকে রক্ষা করতে হবে। ভারসাম্য রক্ষা স্রেফ একটা ধাপ্পাবাজি। এর মাধ্যমে গণতন্ত্রের স্বচ্ছ আয়নাকে কলুষিত করে। যুদ্ধপরাধীদের মাইনাস করতে হবে। যখন আমি এটা বলি তখন যুদ্ধপরাধীদের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষক বিএনপিকে কী করবেন? বিএনপি ও খালেদা জিয়াকেও মাইনাস করতে হবে। সবাই বলে রাজনীতির শূন্যতা সৃষ্টি করতে চান? রাজনীতিতে অপরাধীদের শূন্যতা কোনো ঘাটতি সৃষ্টি করে না।’