Current Date:Oct 7, 2024

সাতছড়ির সবুজ সমারোহে পর্যটকদের ভিড়

ডেস্ক রিপোর্ট : এমনিতেই সারি সারি সবুজ চা বাগানের কারণে পর্যটকদের কাছে ভীষণ প্রিয় সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান। সবুজ বনাঞ্চল, সমতল আর উঁচু-নিচু টিলার উপর চা বাগানের সবুজ সমারোহ মুগ্ধ করে যে কাউকেই। মাঝে মধ্যে বানরসহ বেশ কিছু বন্যপ্রাণির দেখাও মিলে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানটিতে। প্রতিদিন এ উদ্যানে বিভিন্নস্থান থেকে এসে ভিড় জমান পর্যটকরা। বিশেষ কোনো দিন বা উৎসবে পর্যটক বেড়ে যায় কয়েক গুণ।

গতকাল শনিবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনেও পর্যটকদের ঢল নেমেছিল সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে। বাস, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল ও সিএনজি অটোরিকশায় চেপে অসংখ্য পর্যটক এদিন উদ্যানে আসেন ঘুরতে। এসব পর্যটকদের মধ্যে তরুণ-তরুণীদের সংখ্যায় ছিল বেশি।

উদ্যানের চা বাগানে বেশ কয়েকজন পর্যটকের সঙ্গে জাগো নিউজের এ প্রতিবেদকের আলাপ হয়। নাগরিক কোলাহল ছেড়ে একটু প্রশান্তির জন্যই তাদের এ আগমন। আর ঈদ যেন বাড়তি আনন্দ যোগ করেছে এসব পর্যটকদের মনে।

চা বাগানে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন ভঙ্গিতে ছবি তুলছিলেন হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার কিশোর আশিকুর রহমান। তিনি বলেন, পড়ালেখা নিয়ে সবসময় ব্যস্ত থাকতে হয়। যার কারণে একসঙ্গে মিলে বন্ধুরা কোথাও যেতে পারি না। ঈদের ছুটিতে তাই বন্ধুরা মিলে বাগানে ঘুরতে এসেছি। স্মৃতি করে রাখার জন্য অনেক ছবিও তুলেছি।

চা বাগানের ভেতরের সড়কে কয়েক যুবক মিলে আড্ডা দিচ্ছিলেন। তাদের একজন রাশেদ মিয়া বলেন, অনেকক্ষণ ঘুরেছি বাগানে। ক্লান্ত হয়ে এখন বন্ধুরা মিলে আড্ডায় বসেছি। আগে অনেকবার এসেছি সাতছড়িতে। এখানে এলেই সবুজ চা বাগানের রূপে মন আনন্দে মেতে উঠে। কিশোরগঞ্জ থেকে পরিবার নিয়ে চা বাগানে ঘুরতে বেরিয়েছেন মাঝবয়সী শমসের আলম।

তিনি বলেন, চাকরির কারণে পরিবার নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাওয়া সম্ভব হয় না। তাই ঈদের দিন সাবাইকে নিয়ে বেরিয়েছি। কয়েকদিন পরই ছুটি শেষে আবার কর্মস্থলে ফিরতে হবে। উদ্যানটা সত্যিই অনেক সুন্দর। সবাই খুব আনন্দ করেছি।

আফরিন আক্তার নামে আরেক তরুণী বলেন, আমাদের শহরে (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) বিনোদনের কোনো জায়গা নেই। তাই শহরের কাছাকাছি হওয়ায় সাতছড়ি উদ্যানে আসি। এবার দুই বন্ধুকে নিয়ে এসেছি। আবার কখন আসা হবে জানি না, তবে স্মৃতি ধরে রাখতে অনেক ছবি তুলেছি।

ঈদ ছাড়াও অন্য দিনগুলোতে পর্যটকরা আসেন সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে। চুনারুঘাটের আশপাশ এলাকার মানুষের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় পর্যটন স্থান হয়ে উঠেছে। এ উদ্যানটিকে ঢেলে সাজালে এ থেকেও সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় করতে পারবে বলে স্থানীয়দের অভিমত।

Share