অনলাইন ডেস্ক : সমাজের ধরা-বাধা নিয়ম নীতি এবং সকল প্রকার পারিবারিক, সামাজিক, নাগরিক সুবিধার বাহিরে যাদের বসবাস সেসকল সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের নিয়েই কাজ করে স্পন্দনবি। ২০১১ সালে থেকে ঢাকা জেলার মোহাম্মদপুর, গাবতলী ও কল্যাণপুর বস্তিতে দরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত ও পথশিশুদের নিয়ে স্পন্দনবি বিদ্যালয় নামে ৪টি স্কুল পরিচালিত হচ্ছে, যার শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক হাজার। বর্তমানে স্কুলগুলো মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন হওয়ায় বিনামূল্যে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার ও চিকিৎসা সেবা প্রদান করছে।
একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে স্পন্দনবি বিদ্যালয়ের ২৫০ শিক্ষার্থীদের নিয়ে বুধবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, শিশু একাডেমি ও মহান একুশে বইমেলা পরিদর্শন করে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বৃষ্টি, ফাতেমা, মিরাজ ও নাদিম জানান, ‘‘ছোট থেকেই আমরা এ স্থানগুলো বইয়ে দেখেছি ও পড়েছি কিন্তু আজ প্রথমবার স্বশরীরে আসতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত এবং শিশু চত্বরের বিভিন্ন স্টল ঘুরে বইও কিনেছি”।
স্পন্দনবি বিদ্যালয়ের কল্যাণপুর শাখার প্রধান শিক্ষক মো. রায়হানুল ইসলাম বলেন, ‘‘প্রাণপ্রিয় বাচ্চাগুলোকে প্রাণের বইমেলাসহ অন্যান্য স্থানগুলোতে এনে বাঙালীর ইতিহাস ও ঐতিহ্য জানাতে পেরে ভাললাগা কাজ করছে।”
শিশুরা ঘুরে ঘুরে বই দেখেছে। ছবি তুলছে, খেলছে। বড়দের সঙ্গে মেলার নানা বিষয় নিয়ে শিশুরা কথাও বলছে। অনেকে বইও কিনেছে। স্পন্দনবি এর সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘‘কোনো শিশু যাতে সুশিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না হয় সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে স্পন্দনবি। সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা যেখানে বেঁচে থাকার অধিকার থেকে অনেক দূরে সেখানে শিক্ষার আলো জ্বালা অত্যন্ত দুঃসাধ্য একটি ব্যাপার। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের স্বপ্ন দেখানো ও পূরণের এমন দুঃসাধ্য কাজই সফলতার সাথে করার চেষ্টা আমরা করছি।”