ডেস্ক রিপোর্ট : বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া অজ্ঞান হওয়ার খবর সঠিক নয় বরং রোজার কারণে তার শরীরে সুগারের পরিমাণ কমে গিয়েছিলো বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, সুগার লেভেল কমে যাওয়া উনি দাঁড়ানো থেকে ঘুরে গিয়েছিলেন। চকলেট খাইয়ে সঙ্গে সঙ্গে তাকে ঠিক করা হয়েছে।
রোববার কুমিল্লায় করা বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা এক মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি হয়। এরপর নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আমি সিভল সার্জন ও আইজি প্রিজনের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছেন, খালেদা জিয়া ৫/৭ মিনিট অজ্ঞান ছিলেন এ খবর সঠিক নয়। গত ৫ জুন উনার (খালেদা জিয়া) সুগার লেভেল নেমে গিয়েছিল। রোজার দিনে ইফতারের আগে তিনি দাঁড়ানো থেকে ঘুরে গিয়েছিলেন। পরে চকলেট খাইয়ে তাকে ঠিক করানো হয়।
তিনি বলেন, কুমিল্লার একটি মামলার শুনানি ছিল। আদালত সোমবার কিছু সময় শুনানির পর আবার মুলতবি করেন। শুনানিকালে আদালতকে আমরা জানিয়েছি, খালেদা জিয়ার অজ্ঞান হওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। বরং তিনি রোজা রাখার কারণে তার সুগার কমে গিয়েছিল। এই বয়সে তার ডায়বেটিস আছে।
মাহবুবে আলম বলেন, শুধুমাত্র জামিন নেয়ার ক্ষেত্রে সহানুভূতি পেতে বিএনপির আইনজীবীরা মিথ্যাচার করছেন। কারাগারের সকল বন্দিদের বিষয়ে সিভিল সার্জন ও পুলিশের আইজি অবশ্যই জানতো। আমি মামলার শুনানির আগে আইজির সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়া অজ্ঞান হওয়ার কথাটি সঠিক নয়। বরং রোজার কারণে তার সুগার কমে গিয়েছিল।
এর আগে শনিবার বিকেলে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার পর তার চিকিৎসকরা জানান, খালেদা জিয়া ‘মাইল্ড স্ট্রোক’ করেছিলেন। কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে পুরনো ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডে কারা ফটকের সামনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক এফএম সিদ্দিকী সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গত ৫ জুন দুপুর ১টার দিকে খালেদা জিয়া হঠাৎ মাথা ঘুরে পড়ে যান। ৫-৭ মিনিট পর তার জ্ঞান ফিরলেও ওই সময়ের কথা কিছুই মনে করতে পারছেন না। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যতটুকু বুঝতে পেরেছি তার ‘মাইল্ড স্ট্রোক’ হয়েছে। আগামীতে বড় ধরনের স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সাজা দেন আদালত। বর্তমানে তিনি নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারে বন্দি রয়েছেন।