Current Date:Nov 25, 2024

চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৮ ডিগ্রি 

জেলা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গা ও যশোরের ওপর দিয়ে কয়েকদিন ধরে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বুধবার (১ মে) বিকেলে এ দুই জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এর আগে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় ৩৬ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। যেটা দেশের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

একইদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোরে, ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৭২ সালের পর এটিই দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে ২০০৯ সালে যশোরে সর্বোচ্চ ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছিল। অব্যাহত তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহে এ অঞ্চলে যেন মরুর উত্তাপ বিরাজ করছে।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, আজ বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ২০০৫ সালের ২ জুন ৪৩ ডিগ্রি, ২০১২ সালের ৪ জুন ৪২ দশমিক ৯ ডিগ্রি, ২০০৪ সালের ১৩ মে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি এবং ২০০৯ সালের ২৭ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। গতবছর ১৯-২০ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।

যশোর শহরের লালদিঘিপাড়ে আখের রস বিক্রি করছেন ফারুক হোসেন। তিনি বলেন, আমি মূলত রিকশা চালাই। তবে রোদ-গরমে রিকশা চালানো যাচ্ছে না। যাত্রীও মিলছে কম। এ কারণে আখের রস বিক্রি করছি। গরমে সাধারণ মানুষ লাইন ধরে রস খাচ্ছে।

শহরের শরবত বিক্রেতা জালাল উদ্দিন জানান, গরম বাড়ায় শরবত বিক্রি বেড়েছে। মানুষ পিপাসা মেটাতে ও একটু স্বস্তি নিতে ঠান্ডা লেবুর শরবত পান করছেন। কিন্তু শরবতের গাড়ি নিয়ে রোদে দাঁড়ানো যাচ্ছে না। ছায়ায় দাঁড়ালেও গা পুড়ে যাচ্ছে বাতাসে।

যশোর শহরের রেলস্টেশন এলাকার রিকশাচালক গফুর আলী বলেন, প্রচণ্ড গরমে গায়ে যেন আগুনের ধাক্কা লাগছে। একটু রিকশা চালালেই ঘামে গা ভিজে যাচ্ছে। গরমে মাথা ঘুরে উঠছে। বেশি ভাড়াও পাওয়া যাচ্ছে না।

Share