নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘১৯৯৬ সালে আমরা যখন ক্ষমতায় আসি দেশে ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি ছিল। ‘৯৮ সালের বন্যায় দেশের পরিস্থিতি ছিল ভয়াবহ। বিশ্বব্যাংক বলেছিল মানুষ খাবার না পেয়ে মারা যাবে। কিন্তু একটা মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি। ‘৯৮ সালেই ঘাটতি পূরণ করে বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলাম। এখন আমরা ধান উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে।’
বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাণিজ্যিক খামার, কৃষি সম্প্রসারণ, গবেষণাসহ ১০টি ক্যাটাগরিতে ৩২টি পদক দেওয়া হয়েছে এবার। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গত বছরও বারবার বৃষ্টি ও বন্যায় হাওরে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তবে আমরা খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। এখন আমরা মজুদের ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রত্যেক এলাকায় খাদ্য মজুদের ব্যবস্থার চিন্তা বঙ্গবন্ধুও করেছিলেন। আমরা নদীনালা ড্রেজিংয়ের উদ্যোগ নিয়েছে। সব খাল, বিল, পুকুর সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই কাজ করা হবে। ফলে জলাশয়গুলোর পানি ধারণের ক্ষমতা বাড়বে এবং মাছের উৎপাদনও বাড়বে। মৎস্য উৎপাদনেও আমরা এখন বিশ্বে চতুর্থ। আমরা সেচের জন্য মাটির ওপরের পানির ব্যবহারের দিকে নজর দিচ্ছি। সেচের জন্য বিদ্যুৎ বিলে ২০ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুই কোটির বেশি কৃষক কার্ড পেয়েছেন। ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছি। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প হাতে নিয়েছি। গবেষণার ফলে সারা বছরই সব সবজি পাওয়া যায়। ১২ মাস সবকিছুই হচ্ছে। কৃষিভিত্তিক শিল্পও আমাদের লক্ষ্য। যে এলাকায় যেটা ভালো হয় সেটার উৎপাদন বাড়িয়ে বিদেশে রফতানির ব্যবস্থাও করবো।’