কেমন আছেন?
হুম… বেশ ভালো আছি।
প্রথমবারের মতো বিজ্ঞাপনে কাজ করলেন, তা অনুভূতি…
এক কথায় অনুভূতি অসাধারণ। গত দেড় বছরে অনেক টিভিসির অফার এসেছে। খুব ভালো কিছু অফার পেয়েছি। দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে চাচ্ছিলাম, যে প্রোডাক্ট আমি লঞ্চ করব সেটা যেন গুণগতমানের হয়। শেষ পর্যন্ত এরকম একটি বিজ্ঞাপন পেয়ে গেলাম। বলতে পারেন ব্যাটে-বলে মিলে গেল। তাছাড়া এ কোম্পানিটি অনেক বড় একটা ব্রান্ড এ দেশে। অফারটা যখন পেলাম ভীষণ ভালো লাগল। তাছাড়া এটি হলো আমার প্রথম বিজ্ঞাপন। তাই আজীবন মনে থাকবে এর কথা। বলতে গেলে বিজ্ঞাপন জগতে এটি আমার প্রথম প্রেম।
এই প্রথম শাকিব ছাড়া… বিজ্ঞাপনে কী একসঙ্গে চায়নি তারা?
প্রশ্ন শেষ না হতেই… খুব মজার একটা প্রশ্ন তুললেন। বেশ কিছুদিন আগে এরকম একটা পণ্যের বিজ্ঞাপনের প্রস্তাব পেয়েছিলাম। আয়োজন অনেক ভালো ছিল। কিন্তু পণ্যটা মনে ধরেনি। তাই ওই প্রস্তাবটা প্রত্যাখ্যান করি। আমি কাজের মানের সঙ্গে কখনো সমঝোতা করতে চাই না।
খবর পড়েছেন, বড় পর্দায় আছেন, এবার টিভিসি। প্রত্যাশা কী?
এবার একটু ভিন্ন অভিজ্ঞতা হলো। এখানে ৩০-৪০ সেকেন্ডের মধ্যে সবকিছু ফুটিয়ে তুলতে হয়। এটা অনেক কঠিন একটি কাজ। খুব কষ্ট করে কাজটা করেছি। তবে বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে কাজের ফলাফলটা তাড়াতাড়ি পাওয়া যায় আর দর্শকদের কাছাকাছি সবসময় থাকা যায়। বড় পর্দাকে যদি টেস্ট খেলা ধরি বিজ্ঞাপনটা হলো টি-২০।
বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?
অস্ট্রেলিয়ায় সুপারহিরোর ৬০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ‘চিটাগাংয়্যা পোয়া নোয়াখাইল্যা মাইয়্যা’র শুটিং শেষ। ডাবিংয়ের কাজ চলছে। কিছু প্রজেক্ট নিয়ে কথা চলছে। এ ছাড়া প্রিয়তমার গল্পটা এত অসাধারণ যে, এর জন্য ভিন্ন একটি প্রিপারেশন লাগবে। এর প্রি প্রোডাকশন টেবিল ওয়ার্কগুলো চলছে। কিছুদিনের মধ্যেই সব প্রস্তুতি নিয়ে কাজটি শুরু হবে।
মনে হচ্ছে যেখানে শাকিব খান সেখানেই বুবলী…
শাকিব খান দেশে-বিদেশে অনেক হিরোইনের সঙ্গে কাজ করছেন। আমাদের নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ বেশি বলেই হয়তো মনে হচ্ছে আমরা একসঙ্গে একটু বেশি কাজ করছি। আসলে তা কিন্তু নয়। গত দুই বছরে আমাদের মাত্র চারটা ছবি মুক্তি পেয়েছে, বাকি কাজগুলো শেষ করে আস্তে আস্তে মুক্তি পাবে। ব্যাপারটা যদি এরকম হতো ‘যেখানে শাকিব খান সেখানেই বুবলী’ তাহলে শাকিব অন্য অনেক নায়িকার সঙ্গে কাজ করছেন কীভাবে? তাই এ কথাটি ঠিক নয়।
বড় পর্দায় পাকাপোক্ত হওয়া নিয়ে কী আশাবাদী?
প্রত্যেকের একটা সময় থাকে। আসলে আমি অনেক বাস্তববাদী কিন্তু স্বপ্নচারী কিংবা উচ্চাকাঙ্ক্ষী নই। আমি আমার কষ্ট আর অধ্যবসায় চালিয়ে যাব। সামনে কী হবে, এটা নিয়ে কম ভাবি। সময়ের জবাব সময়েই পাওয়া যাবে। এ ছাড়া নাটক-টেলিফিল্ম নিয়ে তেমন কোনো পরিকল্পনা নেই। যতদিন এ ট্র্যাকে আছি ততদিন বড় পর্দায়ই কাজ করব।
চলচ্চিত্র শিল্প নিয়ে প্রত্যাশা…
সোজাসুজি বলতে চাই, আমি শো-পিস হতে চাই না। যেখানে অভিনয়দক্ষতা দেখাতে পারব সেখানে কাজ করতে চাই। শিল্পীসত্তা থেকে যদি বলি, সময় কিছুটা দায়ী। আগে গুগল-ইউটিউবের মতো তুলনা করার কিছু ছিল না। আমি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে ছোট করার জন্য বলছি না। জাস্ট সময়ের পার্থক্য বোঝানোর জন্য বলছি। কেউ যেন আবার এ বিষয়টা নেতিবাচকভাবে গ্রহণ না করে। তখন মানুষ হলে গিয়ে সিনেমা দেখত। এখন দর্শক কেমন যেন হলমুখী নয়। ছবি মুক্তির কয়েকদিনের মধ্যেই ঘরে বসে মোবাইলে ডাউনলোড করে দেখে ফেলেন দর্শকরা। এতে অনেকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই বলতে চাই, সময় কিছুটা হলেও দায়ী।