নিউজ ডেস্ক : অশ্রুসিক্ত চোখ ও বুকে আশঙ্কা নিয়ে বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস-বাংলার বিমানে হতাহতদের স্বজনরা রওনা হয়েছেন নেপালের পথে। বিমানটিতে ৪৬ স্বজন ও ইউএস-বাংলার সাত কর্মকর্তা রয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল ৯টা ২ মিনিটে তাদের বহনকারী ইউএস-বাংলার বিমানটি ঢাকা ছেড়ে যায় বলে জানিয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। প্রতি পরিবার থেকে একজনকে নেপালে নেয়া হচ্ছে।
এর আগে বিমানবন্দরে হতভাগ্য কয়েকজন স্বজনের সঙ্গে কথা হয়। তাদের একজন শাওন। তিনি বলেন, বাবা কবির হোসেন সহযোগী দুই ব্যবসায়ীকে নিয়ে ওই ফ্লাইটে কাঠমান্ডু গেছেন। বাবার মোবাইল ফোন থেকে আমাকে ফোন দিয়ে জানানো হয়, তিনি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বারিধারার অফিসে আসি। শাওনের বাসা উত্তরার উত্তরখান এলাকায়।
রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকার উম্মে সালমা। সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা তিনি। বর্তমানে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট চিফ হিসেবে কর্মরত। তিন দিনের সরকারি সেমিনারে সোমবার ইউএস-বাংলার বিমানে কাঠমান্ডু যান তিনি। এর পরই আসে বিমান দুর্ঘটনার খবর। সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর বারিধারার ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের অফিসে ছুটে আসেন তার বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ।
এ ছাড়া অনেকেই তারা কথা বলার অবস্থায় নেই। ঘটনার আকস্মিকতায় বিভ্রান্ত মুখে ঘুরছেন বিমানবন্দরে।
সোমবার বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস-বাংলা বিমান দুর্ঘটনায় ২৬বাংলাদেশিসহ ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়ে হাসপাতালে রয়েছেন ৯ বাংলাদেশিসহ ২২ জন।