Current Date:Oct 11, 2024

ঢাকা-চট্টগ্রাম ফোর লেন মহাসড়ক জুড়ে ছোট-বড় গর্ত

ঢাকা-চট্টগ্রাম ফোর লেন মহাসড়ক জুড়ে ছোট-বড় গর্ত
ডেস্ক রিপোর্ট : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দুই লেন থেকে চার লেনে উন্নীত হলেও আশানুরূপ উন্নয়ন হয়নি মহাসড়কের। গাড়ির চাকার সঙ্গে দেবে যাচ্ছে নবনির্মিত লেনের বিভিন্ন স্থান। প্রতিদিন সৃষ্টি হচ্ছে ছোট-বড় গর্ত। গাড়ির চাকার সঙ্গে উঠে যাচ্ছে পাথর। ঘটছে দুর্ঘটনা।
২০১৬ সালের মাঝামাঝিতে মহাসড়কের ফোন লেন নির্মাণ কাজ শেষ হলে ২০১৬ সালের ২ জুলাই উন্নীতকরণ মহাসড়ক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
মহাসড়ক উদ্বোধনের পর থেকেই নবনির্মিত মহাসড়কে নানা সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে বড় সমস্যা হচ্ছে মহাসড়কে ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি। মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি টোল প্লাজা থেকে ফেনীর মোহাম্মদ আলী পর্যন্ত ৯৯ কিলোমিটার মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে প্রতিনিয়তই সৃষ্টি হচ্ছে ছোট-বড় গর্ত। আর গাড়ির চাকার সঙ্গে পাথর উঠে গর্তগুলো ক্রমে বড় আকার ধারণ করছে।
ওই গর্তগুলোতে বড় গাড়ির চেয়ে ছোট গাড়িগুলোই বেশি দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। দ্রুতগতি সম্পন্ন গাড়ি চালকরা ওই সব গর্তগুলো দূর থেকে দেখতে পান না। ফলে কাছে আসার পর নিয়ন্ত্রণ রাখতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছেন। কোন কোন চালক গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন।
তবে চালকদের অভিযোগ, ২০১৬ সালে নির্মিত দুই লেনের চেয়ে ১৯৯৪ সালে নির্মিত অপর দুই লেন এখনো অনেক মজবুত রয়েছে।
মহাসড়কে চলাচলরত হানিফ পরিবহনের চালক সেলিম মিয়া জানান, আমি আজ ২০ বছর যাবৎ এই রোডে গাড়ি চালাই। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলরত যানবাহন অতিরিক্ত বৃদ্ধি, দুর্ঘটনা রোধ ও পরিবহনের ব্যবস্থার গতি ফিরিয়ে আনতে সরকার মহাসড়ককে ফোর লেনে রূপান্তর করলেও আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেনি।
প্রতিটি মহাসড়ক যখন দুই লেনে ছিল, তখনও এতো আতংক নিয়ে গাড়ি চালাইনি। এখন গাড়ি টানতেও রীতিমত আতংকে থাকি। গতকাল যেখানে গর্ত ছিল না আজ দেখি সেখানে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। পরের দিন দেখি ওই গর্ত অনেক বড় হয়ে গেছে। আর ওইসব গর্তগুলোতে চাকা পড়লে যাত্রীরা যেমন আমাদের গালাগাল করে অপর দিকে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ রাখতেও আমাদের যথেষ্ট কষ্ট হয়।
এদিকে উদ্বোধনের প্রায় এক বছর পর ২০১৭ সালের ৩০ জুন সড়ক ও জনপদ বিভাগের কাছে মহাসড়কের দায়িত্ব হস্তান্তর করে ফোর লেন প্রকল্প। কিন্তু ফোর লেন প্রকল্প থেকে দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পরই মহাসড়কের ওই সব সমস্যায় বাড়তি চাপে রয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা।
এ ব্যাপারে কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ছোহরাব আলী জানান, মহাসড়কে মাত্রাতিরিক্ত ভারি যানবাহন চলাচল করায় নবনির্মিত লেনের বিভিন্ন অংশ দেবে যাচ্ছে। আর ওই দেবে যাওয়া অংশে পানি জমে ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হচ্ছে। তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সেগুলো প্রতিনিয়ত সংস্কার করে যাচ্ছে।
Share