Current Date:Oct 13, 2024

‘উধাও কয়লা’ নিয়ে পূর্নাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

নিউজ ডেস্ক : বড়পুকুরিয়া খনির ‘উধাও কয়লা’ নিয়ে পূর্নাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ জন্য উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করতে বলেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী সোমবার সচিবালয়ে এক বৈঠক এ নির্দেশ দেন।

এছাড়া এ ঘটনায় পেট্রোবাংলাকে মামলা দায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই দুর্নীতির অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক) একটি কমিটি গঠন করেছে। দুদকের একটি প্রতিনিধি দল সোমবার খনি এলাকা পরিদর্শনও করেছে। তারা কয়লার মজুদ ঘাটতি অভিযোগের প্রাথমিক সত্যাতা পেয়েছে। এর আগে শুক্রবার পেট্রোবাংলা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল।

প্রধানমন্ত্রী সোমবার মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়সহ সংশ্নিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, জ্বালানি সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম এবং পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফায়জল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের জানান, বড়পুকুরিয়ার কয়লা নিয়ে পূর্ণ তদন্ত করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ। কারণ তিনি এই মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীও। সোমবার বিকেলে মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি রেখে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়ে জ্বালানি বিভাগ থেকে পেট্রোবাংলাকে চিঠি দেয়া হয়েছে।

বড়পুকুরিয়া খনিতে উত্তোলিত ১ লাখ ১৬ হাজার টন কয়লার হদিস মিলছে না। কাগজ কলমে থাকলেও কোল ইয়ার্ডে এই কয়লা পাওয়া যায়নি। হদিসবিহীন এই কয়লার বাজারমূল্য ২০০ কোটি টাকা। বড়পুকুরিয়া খনি কর্তৃপক্ষের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, কয়লা খোলা বাজারে বিক্রির সময়ই দুর্নীতি হয়েছে। তবে একটি সূত্র চীনা কোম্পানির কয়লা উত্তোলনের প্রকৃত পরিমান নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছে। এই পক্ষটি বলছে, খনি থেকে উত্তোলিত কয়লার পরিমাণ বেশি দেখিয়ে অপারেটর চীনা কোম্পানি বেশি অর্থ নিয়ে যেতে পারে। খনিকর্তৃপক্ষের উপর পর্যায়ের সঙ্গে যোগসাজসে এমন দুর্নীতির ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবীব উদ্দিন আহমদসহ পাঁচ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাময়িক ব্যবস্থা নিয়েছে পেট্রোবাংলা।

 

Share