Current Date:Oct 11, 2024

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি স্থিতিশীল থাকলেও দুধকুমারে এক সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। তবে ধরলায় ১৪ ও তিস্তায় ১০ সেন্টিমিটার পানি কমেছে।

এলাকা জলমগ্ন থাকায় নীচু এলাকার মানুষ এখনো ফিরতে পারেনি। তারা এখনো সরকারি সড়ক বা উঁচু স্থানে অবস্থান করছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, এখনো ধরলা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদ-নদী তীরবর্তী এলাকায় ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। ভেঙে পড়েছে গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা। বিশুদ্ধ পানির সংকটের কারণে কোনো কোনো এলাকায় বাড়ছে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগের প্রকোপ।

সদর উপজেলার সন্ন্যাসী বাঁধে আশ্রিত মর্জিনা বেগম জানান, এখনো ঘরবাড়ি থেকে পানি পুরোপুরি নামেনি। তাই পলিথিন টাঙিয়ে তারা বাঁধে আশ্রয় নিয়ে আছেন। একই এলাকার বাহাদুর মিয়া জানান, নলকূপ ডুবে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির সংকটে পড়েছেন তারা। তার পরিবারসহ আশপাশের প্রায় সব পরিবারে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে।

কৃষকরা জানিয়েছেন, বন্যায় আমন চারা, পাট, ভুট্টা, কলাসহ ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। সারোডোব গ্রামের কৃষক মজিবর রহমান জানান, পাট ক্ষেত পানিতে ঢলে পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। ভুট্টা ক্ষেত ডুবে থাকায় বাধ্য হয়ে অপরিপক্ক ভুটা তুলছেন ক্ষেত থেকে। তবে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ৬৮ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্যাকবলিত এলাকায় রবিবার এক হাজার ৭০০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও ৫০ টন চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া ৫০ টন জিআর চাল, দুই লাখ টাকা জিআর ক্যাশ এবং ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে।

Share