Current Date:Oct 12, 2024

ক্ষতিকর প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহার কমানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

নিউজ ডেস্ক : পরিবেশবান্ধব পাটের বহুমুখী ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্লাস্টিক এখন বিশ্বব্যাপী সমস্যা। প্লাস্টিকের কারণে এখন অনেক জায়গায় জাহাজ চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অন্যদিকে পাট হচ্ছে পরিবেশবান্ধব। আমরা পাটকে তার সোনালি দিনে ফেরত আনতে নানা উদ্যোগ নিয়েছি।

পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর পলিথিনের ব্যবহার কমানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পাটের পলিমার থেকে নতুন ধরনের পচনশীল ব্যাগ তৈরি হচ্ছে। আমার এর নাম দিয়েছি সোনালি ব্যাগ। পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করে এটি পলিথিনের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। পরিবেশ দূষণ যাতে না হয়, সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রেখে প্রতিটি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

বুধবার বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা ২০১৮ এবং জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও মাসব্যাপী বৃক্ষমেলা ২০১৮ উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের স্মরণে সারাদেশে একযোগে ৩০ লাখ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন।

পাট থেকে নানা ধরনের পণ্য তৈরির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা আমাদের জন্য বিরাট সুযোগ সৃষ্টি করেছে। বিশ্বব্যাপী যখন পরিবেশের কথা আসছে, আমরা পাট উৎপাদনকারী একটি দেশ। এই পাট পণ্য উৎপাদন করে এর বহুমুখী ব্যবহার আমরা নিশ্চিত করতে পারি, বিদেশে রপ্তানিও করতে পারি। আমরা চাই বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে কর্মরত সংশ্লিষ্ট যারা আছেন, তারাও উদ্যোগটা নেবেন। ধীরে ধীরে প্লাস্টিকটাকে আস্তে আস্তে সরিয়ে দিয়ে, হয় এটাকে (প্লাস্টিক) পুনর্ব্যবহারের ব্যবস্থা করতে হবে না হয় আস্তে আস্তে এটাকে সরিয়ে দিতে হবে।

শেখ হাসিনা দেশে পরিবেশের সংরক্ষণে তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও তুলে ধরেন।

শেখ হাসিনা দেশের সব মানুষকে বৃক্ষরোপন অভিযানে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশকে বাঁচানোর জন্য বৃক্ষরোপন একান্তভাবে প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। কাজেই এজন্য আমি সবাইকে আহ্বান জানাই যে, প্রত্যেকে একটা বনজ, একটা ফলজ ও একটা ঔষধি গাছ লাগান।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন পদক ২০১৮, জাতীয় পরিবেশ পদক-২০১৮ এবং বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার ২০১৭ প্রদান করেন। এছাড়া, অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সামাজিক বন বিভাগের উপকারভোগীদের লভ্যাংশের চেক তুলে দেন।

অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে একটি গাছ লাগান। সম্মেলন কেন্দ্রের বাইরে অনুষ্ঠিত বৃক্ষমেলা ঘুরে দেখেন।

পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়। এতে অন্যদের মধ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী আসিনুল ইসলাম মাহমুদ, প্রতিমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, সংসদীয় কমিটির সভাপতি ড. হাছান মাহমুদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।

এ বছর পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘আসুন প্লাস্টিক দূষণ বন্ধ করি‘। আর স্লোগান হচ্ছে ‘প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহার করি, না পারলে বর্জন করি‘। আর জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযানের প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে ‘সবুজে বাঁচি সবুজ বাঁচাই/নগর প্রাণ প্রকৃতি সাজাই‘।

 

Share