Current Date:Oct 11, 2024

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জোড়া খুন

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে দূর্গম চরাঞ্চল কালাপাহাড়িয়ায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের একজন করে দুজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি ২টি মামলায় ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

ইতিমধ্যেই এক পক্ষের ১০ নং আসামি রোজিনা এবং অপর পক্ষের সুজন মৃত্যুবরণ করায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ফলে পুলিশের ধরপাকড় এড়াতে মধ্যারচর গ্রামটি জনশূন্য হয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, গত ৭ জুলাই সন্ধ্যায় মধ্যারচর গ্রামে মেঘনা নদীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ইউপি সদস্য লিটন মেম্বার ও বাবুলের লোকজনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দু পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন গুরুতর আহত হয়। এদের মধ্যে সুজন (২৫) নামে লিটন মেম্বারের পক্ষের একজন ঘটনাস্থলে মারা যায়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হযরত আলীর পক্ষের বাবুলের স্ত্রী রোজিনা (২৫) ৮ জুলাই দুপুরে মারা যায়।

পুলিশ জানায়, রোজিনা হত্যার ঘটনায় তার স্বামী বাবুল বাদী হয়ে ৯ জুলাই রাতে লিটন মেম্বার, সাইফুল ইসলাম সুরুজ, কমল, সিরাজ, শফিকুল, মোস্তফা, নবী হোসেন, মোকারম, ওমর আলী, বেনু, মালেক, হাসানসহ ৩০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তবে উক্ত মামলায় ছেলে কমল ও বাবা বেনু চাকরিজীবি হওয়ায় ঘটনার সময় উপস্থিত না থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।

অপর দিকে সুজন হত্যার ঘটনায় তার বড় ভাই রবি মিয়া বাদী হয়ে ৮ জুলাই রাতে বাবুল, কবির, আনার হোসেন, জজ মিয়া, হযরত আলী, হৃদয়, আলমগীর, আছমা, রোজিনা, হনুফা, জনি, শহিদুল্লাহসহ ৩০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর মধ্যে ১০ নং আসামি রোজিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি মামলায় গ্রেফতার এড়াতে গ্রামটি এখন জনশূন্য হয়ে পড়েছে। নিহত রোজিনা ও সুজনের লাশ দাফন করার মত কোন লোক ও গ্রামে খূঁজে পাওয়া যায়নি। পরে পুলিশ রোজিনা ও সুজনের লাশ দাফন করে।

আড়াইহাজার থানার ওসি এম এ হক জানান, পুরো এলাকায় এখন জনশূন্য। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত আসামি গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

Share