‘পান্থপথের বিল এলাকার একটি জলাধারও সংরক্ষণ না করা দুর্ভাগ্যের’

0
83

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পান্থপথের দুপাশে পুরো জায়গাটা বিশাল বিল ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবচেয়ে দুর্ভাগ্য যে উন্নয়নের নামে এই জায়গাটা যে একটা বিশাল বিল এলাকা ছিল, এখানকার একটা জলাধারও কিন্তু সংরক্ষণও করা হয় নাই। যার ফলাফল দেখি, বসুন্ধরা ভবনে যখন আগুন লাগে, আগুন নেভানোর পানি পাওয়া যায় না। পানি আনতে হয় হোটেল সোনারগাঁও-এর সুইমিং পুল থেকে।

বৃহস্পতিবার (০১ অক্টোবর) সকালে গণভবন থেকে কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজধানীর পান্থপথে পানি ভবন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্মু্খে নির্মিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘ম্যুরাল’ ও বিমানবন্দরের অভ্যন্তরস্থ ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের নবনির্মিত প্রধান কার্যালয় ‘পর্যটন ভবন; এবং সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প (প্রথম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের নির্মাণকাজের উদ্বোধন ঘোষণ করেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন।

গণভবন প্রান্তে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস।

প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের মেয়াদে পানি ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, উপজেলা থেকে একেবারে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত সুপেয় পানি সরবরাহ করা হয়। এর বেশিরভাগই নদীর পানি পরিশুদ্ধ করে সরবরাহ করা হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, পানি ভবন যে জায়গাটায়, আসলে এখানে অনেকের হয়ত জন্মই হয়নি, আমরা দেখেছি আজকে যে জায়গাটায় এখন পান্থপথ। এটা কিন্তু একটি খাল। ওটাকে বক্স কালভার্ট করে ফেলা হয়েছে। আর পান্থপথের দুপাশে পুরো জায়গাটা একটা বিল, বিশাল বিল। আর ঠিক তার পাশে গ্রীন রোডে পানি ভবনের জায়গাটা ছিল। সবচেয়ে দুর্ভাগ্য যে উন্নয়নের নামে এই জায়গাটার একটা জলাধারও কিন্তু সংরক্ষণও করা হয় নাই। যার ফলাফলটা আমরা দেখি, বসুন্ধরা ভবনে যখন আগুন লাগে, যে ভবনটি তৈরি হয়েছে একেবারে বিলের ওপর, জলাধারের ওপর সেখানে আগুন নেভানোর পানি পাওয়া যাচ্ছে না। পানি আনতে হলো হোটেল সোনারগাঁও-এর সুইমিং পুল থেকে।

এজন্য আমি সবসময় নির্দেশ দিয়েছি যেখানে যে প্রতিষ্ঠানেই করা হোক, প্রাকৃতিক ভারসাম্য যেমন রক্ষা হবে, প্রকৃতিকে রক্ষা করার ব্যবস্থা নিতে হবে। আর জলাধার সংরক্ষণ করতে হবে। আমাদের দেশে বক্স কালভার্ট এই ফমুর্লাটাই হচ্ছে সবথেকে আত্মঘাতী। যেখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি, যেখানে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকে না এবং কিছুদিন পর নানা রকমের জটিলতাও দেখা দেয়।

প্রধানমন্ত্রী নদী ড্রেজিং, নৌপথ চালুসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাচ্যের সাথে পাশ্চাত্যের যে সংযোগটা বাংলাদেশ তার জন্য সবচেয়ে আদর্শ একটা জায়গা হতে পারে। যদি আমরা যেভাবে উন্নত করতে পারি। জাতির পিতা সবসময় বলতেন তিনি বাংলাদেশকে ‍সুইজারল্যান্ড হিসাবে গড়ে তুলবেন। কারণ ইউরোপে সুইজারল্যান্ডের যে অবস্থানটা, কারণ ইউরোপের একদিক থেকে আরেকদিকে যেতে গেলে সুইজারল্যান্ডের ভিতর হয়ে যেতে হয় এবং বাংলাদেশের অবস্থানও ইন্টারন্যাশনাল এয়ার রুটের ভিতরে আছে। সেখানে আমাদের অনেক সম্ভাবনা আছে। আমরা সম্ভাবনাটাকে কাজে লাগাতে পারি। তাহলে একদিকে পর্যটন শিল্প অপরদিকে এই এয়ারলাইনন্স থেকে অনেক টাকা উপার্জন করে দিতে পারে।