হজ ফরজ হওয়ার শর্তগুলো

0
269

অনলাইন ডেস্ক : ইসলাম ধর্মের পাঁচ স্তম্ভের মাঝে অন্যতম হলো হজ। প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়ষ্ক সামার্থবান মুসলিম নর-নারীর ওপর হজ ফরজ করা হয়েছে। হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ইসলামের ভিত্তি পাঁচটি- এক. আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য বা শরিক নেই। হজরত মুহম্মদ (সা.) তার বান্দা ও রাসূল এ কথার সাক্ষ্য দেয়া, দুই. নামাজ কায়েম করা (অর্থাৎ নিজে যেমন নামজ আদায় করবে, তেমনি তা সমাজে প্রতিষ্ঠা করবে), তিন. যাকাত প্রদান করা, চার. বায়তুল্লাহ শরিফে হজ করা এবং পাঁচ. মাহে রমজানে রোজা রাখা (বোখারী ও মুসলিম)।

তবে ফরজ ইবাদত সমূহের মধ্যে যাকাত ও হজের ক্ষেত্রে আর্থিক সামর্থ্যের বিধান রয়েছে। অর্থ্যাৎ প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলিমের জন্য হজ পালন করা অত্যাবশকীয়। ‘প্রত্যেক সামর্থ্যবান মানুষের ওপর বায়তুল্লাহর হজ করা ফরজ।’ (সুরা- আলে ইমরান, আয়াত: ৯৭)।
আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলমানের ওপর হজ ফরজ।
হজ ফরজ হওয়ার শর্তসমূহ নিচে তুলে ধরা হলো-
১. মুসলমান হওয়া
২. জ্ঞানসম্পন্ন হওয়া
৩. প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া
৪. স্বাধীন হওয়া
৫. সামর্থ্য থাকা
ইরশাদ করা হয়েছে, ‘এ ঘরের হজ করা হলো মানুষের উপর আল্লাহর প্রাপ্য যে লোকের সামর্থ্য রয়েছে এ পর্যন্ত পৌঁছার। (সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৯৭)
বলে রাখা প্রয়োজন, অনেক ক্ষেত্রে যাকাত ফরজ না হয়েও হজ ফরজ হতে পারে। তবে হজ ও যাকাতের ক্ষেত্রে আর্থিক সামর্থ্য থাকা আবশ্যক। হজ ও যাকাতের কিছু পার্থক্য রয়েছে। যাকাতের সঙ্গে নিসাবের সম্পর্ক। যে পরিমাণ অর্থ থাকলে যাকাত ফরজ হয়, তাকে নিসাব বলে।
আর মক্কায় গিয়ে আবার ফিরে আসা পর্যন্ত সামর্থ্য থাকলে হজ ফরজ হয়। কেউ যদি সম্পদ অথবা স্থাবর সম্পত্তির কিছু অংশ বিক্রি করে হজে যায় আবার হজ থেকে ফিরে এসে বাকি সম্পত্তি দিয়ে জীবন নির্বাহ করতে পারে তবে তার ওপর হজ ফরজ। (ইমদাদুল আহকাম : ২/১৫২; আহসানুল ফাতাওয়া : ৪/৫১৬)