অন্যের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে নাচের ভিডিও পোস্ট করায় ইরানে ১৮ বছর বয়সী তরুণী গ্রেপ্তার

0
136

অনলাইন ডেস্ক: ইরানে ১৮ বছর বয়সী এক তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর অপরাধ, গ্রেপ্তার এক তরুণের পক্ষে নাচের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো। সেই নাচের ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই তরুণীর নাম মায়েদে হোজাবরি।

বিবিসি ও ইন্ডিপেনডেন্টের খবরে বলা হয়েছে, এক তরুণের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মায়েদে হোজাবরি নাচের একটি ভিডিও পোস্ট করেন। ইরানের রীতিনীতি ও ধর্মীয় অনুশাসনের সঙ্গে যায় না বলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে মায়েদে হোজাবরির হাজারো অনুসারী রয়েছে। তাঁর ভিডিওগুলো মূলত ইরানি এবং পশ্চিমা পপ মিউজিকের তালে নাচের। গত শুক্রবার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচার করা হয়, মায়েদে হোজাবরির তাঁর অপরাধ মেনে নিয়েছেন।

মায়েদে হোজাবরির সমর্থনে সরব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। তাঁর সমর্থনে অনেকেই ভিডিও প্রচার করেছেন এবং নানান মন্তব্য করছেন। মায়েদের সমর্থনে হ্যাসট্যাগ চালু হয়েছে (# নাচ কোনো অপরাধ নয়)।

ইনস্টাগ্রামে ভিডিওতে দেখা যায়, মায়েদে বাসায় ঘরের মধ্য নাচছেন। এ সময় তাঁর মাথায় স্কার্ফ ছিল না। দেশটিতে নারীদের পোশাক এবং অন্য পুরুষের সঙ্গে প্রকাশ্যে নাচার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নিজের পরিবারের সামনে নাচায় অবশ্য কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে নারীদের হিজাব পরতে হয়।

গ্রেপ্তার হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মায়েদেন সমর্থনে অনেকে দাঁড়িয়েছেন। তাঁরা অনেকেই নানান মন্তব্য করছেন।

ব্লগার হোসেইন রোনাগির মন্তব্য, ‘আপনি বিশ্বের যেকোনো দেশে গিয়ে যদি বলেন যে ১৭-১৮ বছরের একটি কিশোরী তাঁর নাচের জন্য গ্রেপ্তার হয়েছে….তারা হাসবে। কারণ তাদের কাছে এটা অবিশ্বাস্য মনে হবে!’

আরেকজন টুইটারে নিজের নাচের ভিডিও আপলোড করেছেন এবং মন্তব্য করেছেন, ‘আমি নাচছি যাতে তারা (ইরান কর্তৃপক্ষ) দেখে এবং জানতে পারে যে মায়েদের মতো নারীকে গ্রেপ্তার করে আমাদের আনন্দ ছিনিয়ে নিতে পারবে না।’

ইরানের পুলিশ বলছে, তারা সামাজিক যোগাযোগের এমন অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করে দিতে চান। ইরানে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, টেলিগ্রামসহ মেসেজিং অ্যাপগুলো বন্ধ। তবে ইরানের অনেকেই বিকল্প পদ্ধতিতে এগুলো ব্যবহার করেন।

নাচের ভিডিও পোস্টের কারণে এর আগেও ইরানে অনেক নারী-কিশোরী গ্রেপ্তার হয়েছে। এ বছরের শুরুতে ইরানের মাসহাদ শহরের শপিং মলে এক নারী ও পুরুষের নাচের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই পুলিশ তাঁদের কারাগারে পুরে।