আত্মসমর্পণের পর জামায়াত নেতা হামিদুর কারাগারে

0
176

অনলাইন ডেস্ক : একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করে আদালত অবমাননার দায়ে সাজাপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আযাদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

পাঁচ বছর আগে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক এই আসামি বুধবার সকালে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান।

বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল শুনানিতে জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

ট্রাইব্যুনালে আযাদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুস সুবহান তরফদার ও আব্দুস সাত্তার পালোয়ান। প্রসিকিউশন পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর জিয়াদ আল মালুম।

মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতাকারীদের বিচার এবং বিচারাধীন বিষয়ে অবমাননাকর বক্তব্য ও দেশে গৃহযুদ্ধের হুমকি দেওয়ায় আদালত অবমাননার অভিযোগে ২০১৩ সলের ৯ জুন তিন জামায়াত নেতার মধ্যে হামিদুর রহমান আযাদ ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খানকে দোষী সাব্যস্ত করে তিন মাসের কারাদণ্ড ও তিন হাজার টাকা জরিমানা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে দলের ঢাকা মহানগরের সহকারী সেক্রেটারি সেলিম উদ্দিন ক্ষমা প্রার্থনা করায় তাকে শুধুমাত্র একদিনের (প্রতীকী) সাজা ও এক হাজার টাকা জরিমানা করেন ট্রাইব্যুনাল।

তাদের গ্রেফতার করার পর অথবা তাদের আত্মসমর্পণের পর এ সাজা কার্যকর হবে। রায়ের কপি ডিএমপি কমিশনারসহ সংশ্নিষ্ঠদের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। তিন নেতাকে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদ পরদিন সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করেছিল জামায়াত।

২০১৩ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে জামায়াতের এক সমাবেশে এই তিন নেতা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন।

ওই বক্তব্য বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হওয়ার পর ৭ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিস জারি করে তাদের সশরীরে হাজির হয়ে বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে বলেন ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু এই তিন নেতার কেউই ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জবাব না দেওয়ায় ট্রাইব্যুনাল ৬ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে সেলিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।