আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের কাশ্মিরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে কাশ্মির বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী অধ্যাপকসহ পাঁচ বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হয়েছেন। নিহতরা কাশ্মিরের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের সদস্য বলে খবরে বলা হয়েছে।
এনডিটিভি জানায়, রবিবার সকালে সোপিয়ানে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে দীর্ঘ গুলির লড়াই শুরুর পর থেকে স্থানীয় তিন বেসামরিক নাগরিকও নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতদের মধ্যে হিজবুল মুজাহিদিনের নিহত সাবেক শীর্ষ নেতা বুরহান ওয়ানির ঘনিষ্ঠ এক শীর্ষ কমান্ডার রয়েছেন।
কাশ্মিরের পুলিশ প্রধান শেষ পল বায়েড এক টুইট বার্তায় জানান, নিহত পাঁচ বিচ্ছিন্নতাবাদীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, কাশ্মির বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ রাফি ভাট মাত্র কয়েক বছর আগে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী হিজবুল মুজাহিদিনে যোগ দিয়েছিলেন। গত শুক্রবার থেকেই তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের উপস্থিতির খবর পেয়ে রবিবার সকালে সোপিয়ানের বাদিগামে অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। ঘটনাস্থলে আনা হয়েছিল মোহাম্মদ রফি ভাটের বাবা-মাকেও। রফিসহ অন্যান্যদের আত্মসমর্পণের জন্য তারা আবেদন জানিয়েছিলেন, কিন্তু তাতে কাজ হয়নি।
নিহত পাঁচজনের মধ্যে রয়েছে আদিল মালিক ও বিলাল মৌলবি এবং হিজবুল কমান্ডার সাদ্দাম পাদ্দের।
পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা শৈলেন্দ্র মিশ্র বলেছেন, ‘তাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছিলাম আমরা, কিন্তু গুলিবর্ষণ অব্যাহত রাখে তারা।’
নিরাপত্তা বাহিনী যখন অভিযান শুরু করে তখন অধ্যাপক ভাট হিজবুল কমান্ডার সাদ্দাম পাদ্দারের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন বলে জানা গেছে।
কে এই সাদ্দাম? বহু চেষ্টার পর ২০১৬ সালের ৮ জুন বুরহান ওয়ানি নামে যে হিজবুল জঙ্গিকে মারতে সক্ষম হয়েছিল সেনাবাহিনী, সাদ্দাম ছিল সেই বুরহানেরই ঘনিষ্ঠ সহযোগী। দীর্ঘদিন ধরেই তার সন্ধান চলছিল।