চামড়া কিনতে ৫৮৩ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে ৯ ব্যাংক সর্বোচ্চ রূপালী ব্যাংক

0
55

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কাঁচা চামড়া কিনতে ব্যবসায়ীদের ঋণ দিয়ে থাকে ব্যাংকগুলো। এবারও তার ব্যত্যয় হচ্ছে না। যদিও গত বছর ব্যাংকগুলো যে পরিমাণ ঋণ বরাদ্দ রেখেছিল, তার সামান্যই ঋণ নিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে তহবিল সঙ্কটে পড়েছিলেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। অর্থের অভাবে অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী চামড়া কিনতে পারেননি। গত বছরের মতো এবারও পশুর কাঁচা চামড়া কিনতে কোরবানির ঈদে ব্যাংকগুলো ব্যবসায়ীদের তহবিলের জোগান দেবে। এগিয়ে আসছে রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকসহ নয় বাণিজ্যিক ব্যাংক। তারা কাঁচা চামড়া কিনতে ব্যবসায়ীদের ৫৮৩ কোটি টাকার জোগান দেবে। ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ব্যাংক সূত্র জানায়, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে চলতি বছর ব্যবসায়ীদের কাঁচা চামড়া কিনতে সর্বোচ্চ বেশি ঋণ দিবে রূপালী ব্যাংক। রূপালী ব্যাংক ব্যবসায়ীদের জন্য এবার ২২৭ কোটি টাকার ঋণ বরাদ্দ রেখেছে। এছাড়াও জনতা ব্যাংক ১৪০ কোটি টাকা, অগ্রণী ব্যাংক ১২০ কোটি টাকা এবং সোনালী ব্যাংক ২৫ কোটি টাকা ঋণ বরাদ্দ রেখেছে।
অন্যদিকে, বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক ৬৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক আড়াই কোটি টাকা, এনসিসি ব্যাংক ৫০ লাখ টাকা, দি সিটি ব্যাংক ২০ লাখ টাকা ব্যবসায়ীদের চামড়া কিনতে বরাদ্দ রেখেছে।
২০২০ সালেও ঈদুল আজহায় কাঁচা চামড়া কিনতে পাঁচ রাষ্ট্রায়ত্তসহ নয় বাণিজ্যিক ব্যাংক ৬৪৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ রেখেছিল। তবে ব্যবসায়ীরা বরাদ্দের বিপরীতে মাত্র ৬৫ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছিলেন।
গত বছর কাঁচা চামড়া কিনতে অগ্রণী ব্যাংক বরাদ্দ রেখেছিল ১৮০ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংক ১৫৫ কোটি, জনতা ব্যাংক ১০০ কোটি, সোনালী ব্যাংক ৭১ কোটি, বেসিক ব্যাংক তিন কোটি টাকা। এছাড়াও ইসলামী ব্যাংক গত বছর বরাদ্দ রেখেছিল ৫০ কোটি টাকা, ঢাকা ব্যাংক ৫০ কোটি, প্রাইম ব্যাংক ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ রেখেছিল।
উল্লেখ্য, আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সরকার প্রথমবারের মতো পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে ২০ লাখ বর্গফুট করে মোট এক কোটি বর্গফুট ওয়েট-ব্লু চামড়া রফতানির অনুমতি দিয়েছে। গত ১০ জুলাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের (রফতানি-১ অধিশাখা) আমদানি ও রফতানি নিয়ন্ত্রক দফতরের প্রধান নিয়ন্ত্রককে দেওয়া চিঠিতে এসব প্রতিষ্ঠানকে ওয়েট-ব্লু চামড়া রফতানির অনুমতি দেয়া হয়।
প্রতিষ্ঠান ৫টি হলো, এএসকে ইনভেস্টমেন্ট, মেসার্স কাদের লেদার কমপ্লেক্স, আমিন ট্যানারি লিমিটেড, লেদার ইন্ডাস্ট্রিজ অব বাংলাদেশ লিমিটেড (ইউনিট-২) এবং কালাম ব্রাদার্স।