ঢাকার রাস্তায় গাড়ি নেই, পথে পথে ভোগান্তি

0
261

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা এলাকায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় গত তিনদিন ধরেই সড়ক অবরোধ করে রেখেছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা। নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের পদত্যাগ ও ঘাতক বাসচালকের ফাঁসিসহ নয় দফা দাবিতে রাজধানীর কয়েকটি স্থানে বাসে আগুন এবং যানবাহন ভাঙচুরের কারণে বাস সরিয়ে নিয়েছেন পরিবহন মালিকরা। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ অফিসগামী যাত্রীরা।

আজ বুধবার সকালে মিরপুর ১, মিরপুর ১০, পল্লবী, মিরপুর ১২, কালশী, ইসিবি চত্ত্বর, বিশ্বরোড, কুড়িল, মহাখালী, বিজয় সরণি, উত্তরা, ফার্মগেট, শ্যামলী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হাজার হাজার মানুষ বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছেন। কয়েকটি বাস এলেও তাতে সবাই উঠতে পারছেন না। বিক্ষোভে সড়ক আটকে থাকায় রাজধানীবাসীর চলাচল যেমন থমকে গেছে, তেমনি পথে পথে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

সকালে অফিসমুখী যাত্রী, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের পায়ে হেঁটে ও রিকশায় যেতে হচ্ছে। রাজপথের সড়ক ছিল ফাঁকা। তবে দূরপাল্লার বাস ও ট্রেন চলতে দেখা গেছে।

গত রোববার ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর বিমানবন্দর সড়কে গাড়ি ভাঙচুর করে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ করেছিল শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থীরা। সোমবার তাদের পাশাপাশি ধানমণ্ডিতে কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা সড়কে নেমে বিক্ষোভ দেখায়।

এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবারও শিক্ষার্থীরা মতিঝিল শাপলা চত্বরসহ যাত্রাবাড়ী থেকে উত্তরা পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ২০টি পয়েন্ট অবরোধ করে। এতে ভাঙচুর হয় কিছু গাড়ি।

রাজপথে নেমে আসা বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, নৌমন্ত্রীর পদত্যাগ ও ঘাতক চালকের বিচারের নিশ্চয়তা না পেলে তারা রাজপথ ছাড়বে না।