নির্জন কারাবাসেই খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি : মওদুদ

0
162

নিজস্ব প্রতিবেদক : নির্জন কারাগারে বন্দিজীবনের কারণেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছে বলে তাঁর দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। আর এর দায় সরকারকেই বহন করতে হবে মনে করেন দলটির নেতারা।

আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খালেদা জিয়াকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজধানীর শাহবাগের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) নিয়ে আসা হয়। দুই ঘণ্টার বেশি স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর দুপুর দেড়টার দিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে ফের পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দীন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ সময় বিএনপি নেতা ও খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের মধ্যে কেউ কেউ হাসপাতালে আসেন। তাদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমদ তালুকদার প্রমুখ।

এ সময় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে নির্জন কারাগারে রাখার ফলে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। তাঁকে যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে সেটি পর্যাপ্ত নয়। নির্জন কারাগারে থাকার ফলে তাঁর স্বাস্থ্যের যে অবনতি হয়েছে তার দায় সরকারের।’

‘খালেদা জিয়াকে যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে সেটা সরকারের নিয়ন্ত্রণে। আমরা চাই, খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে কিন্তু সরকার সেটা দিচ্ছে না।’

মওদুদ আহমদ আরো বলেন, ‘হঠাৎ করে শুনলাম নেত্রীকে পরীক্ষা করানোর জন্য পিজি হাসপাতালে আনা হয়েছে। খুব সম্ভবত তাঁর এক্স-রে ও রক্ত পরীক্ষা করানো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সরকার একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছিল। এই বোর্ড এক্স-রে এবং রক্ত পরীক্ষার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।’

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ দাবি করেন, খালেদা জিয়াকে তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। কারণ সরকারের এ চিকিৎসার ওপর আমাদের আস্থা নেই। তাই আমাদের দাবি, তাঁকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে যাতে তিনি ব্যক্তিগত চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা নিতে পারেন।

‘এত দিন সরকার বলছে, খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন। কিন্তু আজ প্রমাণ হলো, খালেদা জিয়া অসুস্থ। আমরা এত দিন বলে আসছিলাম খালেদা জিয়া অসুস্থ কিন্তু সরকার সে বিষয়ে কোনো মনযোগ দেয়নি।’

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতা বলেন, ‘দেশে চিকিৎসারর অনেক সীমাবদ্ধতা আছে, এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণের চিকিৎসা চলছে। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের এই দায়িত্ব দেওয়া হলে দেশের মানুষ অন্তত নিশ্চিত হবে যে তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা তাঁর চিকিৎসা করছেন।’

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। এরপর পুরান ঢাকার পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারকে বিশেষ কারাগার ঘোষণা দিয়ে খালেদা জিয়াকে সেখানে রাখা হয়।