বিপদ বুঝে ওবায়দুল কাদেরের দৌড়াদৌড়ি শুরু: মোশাররফ

0
127

অনলাইন ডেস্ক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বুঝতে পেরেছেন বিপদে আছেন তারা। দৌড়াদৌড়ি করে অনেকের বাড়ি পর্যন্ত যাচ্ছেন। বাড়িতেও যদি আসেন আমাদের মহাসচিবের এর বাহিরে বলার কিছু নেই।

রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক দল আয়োজিত এক প্রতিবাদী নাগরিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদী নাগরিক সভাটির আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক দলের সভাপতি সৈয়দ মো. ওমর ফারুক পীর সাহেবের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেহেদী হাসান রুমি, মশিউর রহমান,নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী, জিনাফ সভাপতি লায় মিয়া মোহাম্মাদ আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, ঘুরে দাঁড়াও বাংলাদেশের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী প্রমুখ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের প্রতি ইঙ্গিত করে মোশাররফ বলেন, তিনি (কাদের) যদি টেলিফোন করেন আমাদের মহাসচিবকে, তা হলে আমাদের মহাসচিব বলবেন, আগামী নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনে হতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে। সামরিক বাহিনীকে নির্বাচনের সময় আনতে হবে। এটা তিনি টেলিফোনেও বলবেন আবার যদি মহাসচিবের সঙ্গে দেখা করেন সেখানেও তিনি একই কথা বলবেন।

তিনি বলেন,আগামী নির্বাচন ও খালেদা জিয়ার মুক্তি একই সূত্রে গাঁথা।অন্যায়ভাবে বেগম জিয়াকে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। হাইকোর্ট জামিন দিয়েছে তারপরও জামিন দেয়া হচ্ছে না। খালেদা জিয়াকে ছাড়া কোনো নির্বাচন জনগণ মেনে নিবে না।

তিনি বলেন, এই সরকার আন্তর্জাতিকভাবে স্বৈরাচারী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। রাষ্ট্রের মূল স্তম্ভগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে তারা। কোনো ধরনের জবাবদিহিতা নেই তাদের। প্রশাসন সম্পূর্ণভাবে দলীয়করণ করা হয়েছে। এক লক্ষ ৪৪ হাজার টন কয়লা চুরি হয়ে গেছে। কেন হচ্ছে- যেহেতু এই অনির্বাচিত সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।দেশ গোল্লায় যাক তাতে তাদের কি। তারা লুটেপুটে খাবে সব।

তিন সিটি নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে মোশাররফ বলেন, গাজীপুর ও খুলনার মতো তিন সিটিতে একই মডেল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে এমনভাবে গ্রেফতার আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে সাধারণ ভোটাররা পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে।