মির্জা ফখরুল শঙ্কামুক্ত

0
94

নিজস্ব প্রতিবেদক : বুকের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শঙ্কামুক্ত আছেন। আজ সোমবার বিকেল ৪টায় বিএনপির এই নেতাকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়।

এর আগ পর্যন্ত মির্জা ফখরুলকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালের সিসিইউতে পূর্ণ বিশ্রামে রাখা হয় বলে জানিয়েছেন ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ও বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ফাওয়াজ হোসেন শুভ। সেখানে তাকে আজ দেখতে যান কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী।

সোমবার বিকালে ফাওয়াজ হোসেন শুভ জানান, প্রাথমিকভাবে প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে । এতে দেখা গেছে মির্জা ফখরুল শঙ্কামুক্ত।

এর আগে সকালে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, ‘উনি সকালে বাসায় বুকে ব্যথা অনুভব করায় দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোমিনউজ্জামানের তত্ত্বাবধায়নে তার চিকিৎসা চলছে।’

এ বিষয়ে ডা. জাহিদ আরও জানান, মির্জা ফখরুলের মা ফাতিমা আমিন বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় বেশ কিছুদিন ধরে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সোমবার তাকে দেখতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় ফখরুল নিজেই অসুস্থ বোধ করেন।

ডা. জাহিদ জানান, ‘আশা করা যায়, মঙ্গলবার বিএনপি মহাসচিব হাসপাতাল থেকে বাসায় যেতে পারবেন। ২০১৬ সালে কারাগারে থাকা অবস্থায় মির্জা ফখরুলের ঘাড়ে ক্যারোটিড আর্টারিতে ব্লক ধরা পড়ে। পরে তিনি কয়েক দফা যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নেন।’

এদিকে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে, আর মির্জা ফখরুলের হাসপাতালে ভর্তির খবরে নেতাকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কেউ কেউ ইউনাইটেড হাসপাতালে ছুটে যান। চিকিৎসকরা মির্জা ফখরুলকে শঙ্কামুক্ত ঘোষণার পর নেতাকর্মীরা চিন্তা মুক্ত হন বলে জানান বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক নান্নু।

মহাসচিবকে দেখতে হাসপাতালে যান দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বরকতউল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ প্রমুখ।

মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম ও মহাসচিবের ছোট ভাই মির্জা ফয়সল আমীন সার্বক্ষণিক হাসপাতালে বিএনপি মহাসচিবের পাশে রয়েছেন।