যে খাবার কমাবে হৃদরোগের ঝুঁকি

0
162

বাকৃবি প্রতিনিধি : ওমেগা-৩ মানবদেহের জন্য একটি অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি অ্যাসিড, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। তুলসী পরিবারভুক্ত চিয়া শস্যের মধ্যে শতকরা ৩৪ ভাগ লিপিডের ৬৭ শতাংশ রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এছাড়া বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছের চর্বি বা তেল ওমেগা তিনের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। কিন্তু সামুদ্রিক মাছ সহজলভ্য না হওয়ায় ওমেগা তিনের চাহিদা পূরণ করতে পারে না ভোক্তারা।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফসল উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন দীর্ঘ সাত বছরের গবেষণায় চিয়া উৎপাদনে সফলতা পেয়েছেন।

চাষাবাদ সম্পর্কে ড. আলমগীর বলেন, ২০১০ সালে চিয়া বীজ দেশে নিয়ে আসি। এরপর বিভাগীয় মাঠে ৪ বছর চিয়া বীজের অভিযোজন পরীক্ষা করা হয়। অভিযোজন পরীক্ষায় সফল হওয়ার পর ৩ বছর চাষাবাদ নিয়ে গবেষণা করা হয়। ২০১৭ সালে দেশের পাবনা, বগুড়া,গাইবান্ধা,ময়মনসিংহ ও চারঞ্চলে চিয়া চাষে ব্যাপক সফলতা আসে। এটি শীতকালীন ফসল যার জীবনকাল ৯০-১২০ দিন। এ উদ্ভিদে পোকামাকড় ও রোগবালাই খুবই কম হওয়ায় পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও প্রতি হেক্টরে সর্বোচ্চ ২ টন উৎপাদন লাভ করা সম্ভব।

বাংলাদেশে কৃষকবান্ধব চিয়া চাষ পদ্ধতির প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন বলেন, চিয়া হলো মিন্ট প্রজাতির উদ্ভিদ। এটি প্রধানত মেক্সিকা ও দক্ষিণ আমেরিকায় জন্মায়। চিয়া বীজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে উদ্ভিজ আমিষ, চর্বি, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও আঁশ থাকে যা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে প্রয়োজন। চিয়া বীজ শুকনো অবস্থাতেই খাওয়া যায়। তবে চিয়া বীজকে বিভিন্ন খাবার যেমন দই, পুডিং, লাড্ডু, বিস্কুটসহ বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে যোগ করা যেতে পারে।
বাউ-চিয়া সম্প্রসারণ সম্পর্কে ড. আলমগীর হোসেন বলেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় বাউ-চিয়া চাষ দ্রুত সম্প্রসারিত হবে এবং পুষ্টি নিরাপত্তায় বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এদেশে চিয়ার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে ফসল উদ্ভিদ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. এ.কে.এম. জাকির হোসেন বলেন, চিয়া শস্য শুকনো অবস্থাতেই খাওয়া যায়। তবে চিয়া শস্য বিভিন্ন খাবার যেমন দই,পুডিং বা বিস্কুটের সঙ্গে যোগ করে এর চাহিদা বাড়ানো যেতে পারে।