রমজানে ঈমানদারের রিজিক বাড়ে

0
133

মাওলানা কাসেম শরীফ : মহানবী (সা.)-এর অভ্যাস ছিল, বিশেষ ঘটনা, সময় ও মৌসুমে তিনি সাহাবায়ে কেরামকে বিশেষ নির্দেশনা দিতেন। যখন যে কথা বলা প্রয়োজন মনে করতেন, সেটা তিনি বলে দিতেন। একবার যখন রমজানের চাঁদ উঠার সময় ঘনিয়ে এলো, রমজান সম্পর্কে তিনি এক ভাষণ দিয়েছেন। সে ভাষণে রমজানের ব্যাপারে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা তিনি বলেছেন। ‘রমজান এক-এ সত্তরের মাস’-এ কথা ওই হাদিস থেকেই জানা যায়। সেই নাতিদীর্ঘ ভাষণ হাদিসের বিভিন্ন কিতাবে এসেছে। যেমন-সহিহ ইবনে খুজাইমা, হাদিস নম্বর : ১৮৮৭; বাইহাকি, শুআবুল ঈমান, হাদিস : ৩৩৩৬; আল-কামেল লি ইবনিল আদি : ৬/৫১২)

এই হাদিসের একটি টুকরো হলো, ‘শাহরুন ইউজাদু ফি রিজকিল মু’মিনি ফিহি’। অর্থাৎ এই পুণ্যময় রমজান মাসে ঈমানদারের রিজিক বাড়ে। এ কথার কয়েকটি ব্যাখ্যা হতে পারে।

এক. রমজানে ঈমান ও আমল বৃদ্ধি পায়। সব মুসলমান কমবেশি ইবাদত-বন্দেগি করে থাকেন। এটাও এক ধরনের রিজিক। রমজানে এ রিজিক ও নিয়ামত বৃদ্ধি পায়।

দুই. রমজানে মুসলমানরা বেশি বেশি দান-সদকা করে থাকেন, এ কাজ রিজিক বাড়ার অন্যতম উপায়।

তিন. বাহ্যিকভাবে রমজানে তুলনামূলক ভালো খাবারের ব্যবস্থা হয়, অনেক দেশে রমজানে শ্রমিকদের বেতনের সঙ্গে বোনাসও দেওয়া হয়, রমজানে বিভিন্ন জায়গা থেকে হাদিয়া-তুহফা আসে, বিত্তবানরা দান করে থাকে। এসবের দিকে তাকালে মহানবী (সা.)-এর এ কথা খুব সহজেই বুঝে আসে যে রমজানে মুসলমানদের রিজিক বাড়ে।

লেখক : সাংবাদিক ও তাফসিরকারক