ইথোফেন দিয়ে ফল পাকালে তাতে স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই

0
139

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইথোফেন দিয়ে ফল পাকালে তাতে স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে বলে সম্প্রতি বাজারে অভিযান চালিয়ে কয়েক হাজার মণ আম ও কলা ধ্বংস করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) বলছে এতে কোনো প্রকার স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই। যারা এটাকে সমস্যা মনে করে ফলমূল ধ্বংস করেছে তাদের কাছে প্রকৃত তথ্য নেই বলেও জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

আজ বুধবার রাজধানীর বিজ মিলনায়তনে বিএফএসএ আয়োজিত ‘মৌসুমী ফল পাকাতে বিভিন্ন রাসায়নিকের ব্যবহার ও জনস্বাস্থ্য’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এ দাবি করা হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএফএসএর চেয়ারম্যান প্রতিষ্ঠানটি বলছে মোহাম্মদ মাহফুজুল হক। কর্মশালায় মুলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল রউফ মামুন।

মোহাম্মদ মাহফুজুল হক বলেন, ফল পাকাতে নির্দিষ্ট মাত্রায় ইথোফেন ব্যবহার বৈধ। এটি ব্যবহার করার ফলে এর কোনো ‘রেসিডিউয়াল ইফেক্ট’ থাকে না, তাই ক্ষতি নেই। কার্বাইড ব্যবহারেও কোনো ক্ষতি নেই যদি সেটা ফুড গ্রেডের (খাদ্য উপযোগী) হয়। তবে বাংলাদেশে ইন্ডাস্ট্রিয়াল কার্বাইড ব্যবহার করা হয় যা নিম্নমানের। ফুড গ্রেডের কার্বাইডের ব্যবহার দেখা যায় না কারণ সেটা অনেক ব্যয়বহুল। যে কারণে কার্বাইড সরকার নিষিদ্ধ করেছে।

তিনি বলেন, র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলমসহ আরো একজনের সঙ্গে আমি নিজে যোগাযোগ করেছি তাদের সঙ্গে বসার জন্য। তারা এখনো আসেনি। হয়তো তারা অন্য কোন কাজে ব্যস্ত।

আলোচনায় উঠে আসে অপরিপক্ব আম পাকানোর দায়ে ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা যায়, সাজা দেয়া যায়। কিন্তু ফল ধ্বংস করা উচিত নয়। এতে দেশ ও জাতির অর্থনীতির ক্ষতি হচ্ছে। বর্হিবিশ্বে দেশের ফলমুল বাজার হারাচ্ছে। এটা দেশের রপ্তানি এবং পুষ্টি চাহিদা পূরণকে বাধাগ্রস্ত করার একটি সড়যন্ত্র হতে পারে বলেও আলোচনায় উঠে আসে।

ড. মো. ইকবাল রউফ মামুন বিভিন্ন গবেষণার প্রতিবেদন এবং ইথোফেনের বৈজ্ঞানিক কাঠামো বর্ণনা করে বলেন, ফল পরিপক্ক হয়ে যখন পাকতে শুরু করে তখন প্রকৃতিকভাবেই ইথোফেন তৈরি হয়। এই ইথোফেনই ফলতে পাকিয়ে তুলে। এর বিকৃয়ার কারণেই ফলের রং পরিবর্তন হয়, ফলে গন্ধ তৈরি হয়। সারা বিশ্বেই নির্দিষ্ট চেম্বারে ইথোফেন ব্যবহার করে ফল পাকানো হয়। যার কোন স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি নেই।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) দুই অভিযানে আড়াই হাজার মণ এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ৪০০ মণ আম ধ্বংস করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ আমগুলো অপরিপক্ব এবং কার্বাইড ও ইথোফেন দিয়ে পাকানো হয়েছে।