দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে মুকসুদপুর থানার নারী পুলিশ সদস্য নাসিমা পারভীন

0
68
মেহের মামুন, মুকসুদপুর, গোপালগঞ্জ, প্রতিনিধি: বাংলাদেশ পুলিশের নারী সদস্যরা অত্যন্ত দক্ষতা ও যোগ্যতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। তারা পারিবারিক সহিংসতা, সাইবার বুলিং, বাল্যবিবাহ রোধে তাদের কৃতিত্ব দেখাতে সক্ষম হয়েছেন। দেশের সামাজিক শান্তি, নিরাপত্তা নির্ভর করে পুলিশের ভূমিকার ওপর। রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা রক্ষাকারী এই বাহিনী সমাজের শৃঙ্খলা বিধানে নিয়ামক ভূমিকা পালন করে থাকে। স্বাধীনতা উত্তরকালে অর্থাৎ ১৯৭৪ সালে ১৪ জন নারী কনস্টেবল ও উপ-পরিদর্শক প্রথম পুলিশে যোগ দেন। বর্তমানে এ সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজারে দাঁড়িয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় মুকসুদপুর থানায় কর্মরত এ এস আই নাসিমা পারভীন দক্ষতার সাথে তার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। পুরুষ পুলিশ সদস্যরা যে কাজ করে থাকেন তিনিও সেই একই কাজ করে থাকেন। নারী পুরুষের কোন ভেদাভেদ তার কাছে নেই। তিনি নির্ভিগ্নে রাষ্ট্রের অর্পিত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি প্রায় ১৫ বছর ধরে পুলিশের চাকরী করে আসছেন। এক বছরের অধিক সময় ধরে অত্যন্ত সুমানের সাথে মুকসুদপুর থানায় কর্মরত রয়েছেন। এরই মাঝে পারিবারিক সহিংসতা, সাইবার বুলিং, বাল্যবিবাহ রোধে তার কৃতিত্ব দেখাতে সক্ষম হয়েছেন। এ এস আই নাসিমা পারভীন জানান, অনেক আশা নিয়ে পুলিশের চাকরিতে যোগদান করেছি। আমার যতটুকু আশা ছিলো পুলিশের চাকরী আমাকে তার চাইতে বেশি দিয়েছে। পুলিশের চাকরীর কারনেই আমি মিশনে গিয়েছিলাম। সেখানে নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে বিশ্বের দরবারে দেশের সন্মান রক্ষা করেছি। আমি মুকসুদপুর থানায় প্রায় একবছর যাবৎ কর্মরত আছি। আমার সকল সহকর্মিরা খুবই আন্তরিক।
বিশেষ করে থানার ওসি মো. আবু বকর মিয়া খুবই আন্তরিক। আমাকে অনেক স্নেহ করেন। তারই আন্তরিকতার কারনে থানায় কর্মরত থেকে নিজের কাছে গর্ববোধ হয়। মুকসুদপুর থানার ওসি মো: আবু বকর মিয়া জানান, দেশের দুই রাজনৈতিক দলের প্রধান নারী, প্রধানমন্ত্রী নারী, স্পিকারও নারী। শুধু রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নয়, দেশের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রম ও নারীর ক্ষমতায়নে অনেক দূর এগিয়েছে বাংলাদেশ। নারী পুলিশরা এখন দেশের উন্নয়নের গর্বিত অংশীদার। মুকসুদপুর থানায় কর্মরত এএসআই নাসিমা পারভীন নির্ভিগ্নে সততার সাথে পুরুষ পুলিশের সাথে তাল মিলিয়ে তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এছাড়াও মুকসুদপুর থানায় আরও পাঁচ নারী পুলিশ সদস্য রয়েছে। তারাও তাদের দায়িত্বে অবিচল থাকেন সবসময়। তিনি আরও জানান, সমাজে নারীর নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করতে হলে পুলিশের মতো চ্যালেঞ্জিং পেশায় বাড়াতে হবে নারীর অংশগ্রহণ।পুরুষের মতো ভূমিকা রয়েছে ১০ শতাংশের বেশি নারী পুলিশ সদস্যদেরও। বিভিন্ন অপারেশনাল কাজে পুরুষের মতো সমান সাফল্য পাচ্ছেন নারী কর্মকর্তারাও।