মৃত সন্তানকে তিনদিন আগলে রাখল মা!

0
95

অনলাইন ডেস্ক : সন্তান হারানোর কষ্ট যে অন্য প্রাণিদেরও সীমাহীন তা জানা গেল সাম্প্রতিক একটি ঘটনায়। কয়েকদিন আগে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ার কাছে ভিক্টোরিয়া সমুদ্র সৈকতে বিপন্ন প্রজাতির তিমি অরকা একটি সন্তানের জন্ম দেয়। প্রায় তিন বছর পরে ওই তিমি পরিবারে প্রথম জীবিত সন্তানের জন্ম দিয়েছিল জে ৩৫ নামে পরিচিত ওই মা তিমিটি।

কিন্তু জন্মের কিছুক্ষণ পরেই মারা যায় তিমির বাচ্চাটি। কিন্তু মা তিমিটির মন কিছুতেই তা মানছিল না। তাই মৃত সন্তানকে মুখে নিয়ে তাকে ছুটতে দেখা গেছে সৈকতের নানা প্রান্তে ।গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিনদিন পার হলেও তিমি মা তার মৃত সন্তানকে একইভাবে আঁকড়ে রেখেছেন।

‘সেন্টার ফর হোয়েল রিসার্চ অন স্যান জুয়ান আইল্যান্ড’-এর প্রতিষ্ঠাতা বিজ্ঞানী কেন ব্যালকোম্ব বলেন, ‘ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে গিয়েছে, সন্তানকে মুখে নিয়ে সাঁতরে যাচ্ছে জে৩৫’। তিনি আরও বলেন, ‘এমন নয় যে এ ঘটনা আগে দেখা যায়নি। কিন্তু এত দীর্ঘ সময়, এই প্রথম দেখলাম।’’

সমুদ্রবিজ্ঞানীরা বলছেন, গত মঙ্গলবার থেকে তিন দিনে নিজের দলের সঙ্গে ভ্যাঙ্কুভার গিয়ে, সেখান থেকে স্যান জুয়ান আইল্যান্ড ফিরেছে জে৩৫। প্রতি দিন গড়ে ৬০-৭০ মাইল সাঁতরে পার করেছে সে। আর পুরো সময়টা সন্তানের ৪০০ পাউন্ডের দেহটা ভাসিয়ে রাখতে দেখা গেছে তাকে।

সিনিয়র বিজ্ঞানী কেন ব্যালকোম্ব বলেন, ‘ তিমির বাচ্চাটা সদ্য জন্মেছিল। মারা যাবার পর এটা বারবার ডুবে যাচ্ছিল আর তার মা তাকে ভাসিয়ে রাখছিল।’

‘ওয়াইল্ড অকরা সংস্থা’র বিজ্ঞানী ও গবেষক ডেবরা গিলস বলেন, ‘এই ঘটনা প্রমাণ করে প্রাণিদের মধ্যে পরিবাবিক বন্ধন কতটুকু। মা শিশুটির জন্য তার বন্ধন অনুভব করছে। এ কারণে সন্তানকে আকড়ে ধরে আছে। মারা গেলেও তাকে ছাড়তে চাইছে না।সে তার জন্য শোক প্রকাশ করছে।‘

এর আগে অবশ্য গবেষকরা ডলফিন কিংবা তিমিদের সন্তান মারা গেলে তাকে দীর্ঘসময় মুখে ধরে রাখার প্রমাণ গত জুনে পেয়েছেন।

সূত্র : মেইল অনলাইন