মেসিদের হারের কারণ এই দুই তরুণী!

0
169

স্পোর্টস ডেস্ক: দলে সতীর্থ হিসেবে ক্লাবে পাশে পেয়েছেন এডিনসন কাভানি, নেমার দ্য সিলভা, ডি মারিয়াদের মতো সুপারস্টার ফুটবলারদের। তারকা ফুটবলারদের দাপটে এতদিন নিজেকে মেলে ধরতে পারেনি কিলিয়ান এপবাপে। তবে আর্জেন্টিনা ম্যাচেই তার সক্ষমতা তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন।

আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে নক আউট পর্বে শুধু গতিতেই নাস্তানাবুদ করে ছেড়়েছিলেন মেসির জাতীয় দলের সতীর্থদের। ওটামেন্ডি, রোহো হোক বা বার্সেলোনায় খেলা জেভিয়ের মাসচেরানো— এপবাপের সঙ্গে গতিতে পাত্তাই পাননি তারকা ডিফেন্ডাররা। কিন্তু তার এই চমকপ্রদ উত্থানের নেপথ্যে কী?

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের আলোচনা এমবাপকে নিয়ে। একাধিক প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, এমবাপে সমর্থন জুগিয়ে চলেছেন তার বান্ধবী এলিসিয়া এইলিস, যিনি আবার প্রাক্তন ‘মিস ফ্রান্স’!

এমবাপের বয়স মাত্র ১৯ বছর বয়স। আর এই বয়সেই নাম লিখিয়ে ফেলেছেন কিংবদন্তিদের পাশে। এর আগে টিনএজার হিসেবে বিশ্বকাপের ম্যাচে জোড়া গোল করার নজির ছিল স্বয়ং পেলের। টিনএজারদের সেই এলিট বন্ধনী এতদিন ফাঁকাই ছিল। তবে এমবাপে ঢুকে পড়েছেন আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে জোড়া গোলের সৌজন্যে। আর তারকা থেকে মহাতারকা হয়ে ওঠার পথে এমবাপেকে সারাক্ষণ ভরসা জুগিয়ে চলেছেন এলিসিয়া।

কাজান এরিয়ায় যখন মেসিকে ম্লাণ করে নতুন তারকা হয়ে ওঠার বার্তা দিলেন এমবাপে, তখন ভিআইপি গ্যালারিতেই দেখা গেল এলিসিয়াকে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, চলতি বছরের মে মাস থেকেই এমবাপে আর ‘সিঙ্গেল’ নন। মে মাস থেকেই ডেটিং শুরু করেছেন এমবাপে ও এলিসিয়া।

এর আগে এমবাপে যে ক্লাবে খেলেন সেই প্যারিস সেন্ট জার্মাইনের খেলা দেখতে স্তাদ দ্য ফ্রান্সের গ্যালারিতেও একাধিকবার দেখা গিয়েছে এলিসিয়াকে।

ফ্রান্সের তারকাকে সমর্থন করে চলা এলিসিয়া অবশ্য জন্মসূত্রে ফরাসি নন। ফ্রান্স অধিকৃত ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের মার্টিনিকে জন্ম কৃষ্ণ-বর্ণা সুন্দরীর।

দু’বছর বয়সেই এলিসিয়ার বাবা-মা আলাদা হয়ে যান। মা মারি চ্যান্টালের সঙ্গে তিনি তখন পাড়ি দেন ফ্রেঞ্চ গায়ানার মাতৌরিতে। ২০১৬ সালে ‘মিস ফ্রেঞ্চ গায়ানা’ হন তিনি। তার পরের বছরেই জিতে নেন ‘মিস ফ্রান্স’-এর শিরোপা। ২০১৭ সালে মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতাতেও ফ্রান্সের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি।

বর্তমানে বিভিন্ন সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নেন তিনি। অবশ্য বিজ্ঞান বিষয় নিয়ে স্নাতক স্তরে পড়াশুনাও করছেন তিনি। যাই হোক, এমবাপের মতো তারকার উত্থানে তিনি-ই নাকি উদ্দীপনা দিয়েছেন, এমনটাই দাবি সবার। কাজান এরিয়ায় তার পাশেই দেখা গিয়েছিল অন্য এক প্রাক্তন ‘মিস ফ্রান্স’ (২০০৭) রাচেল লেগ্রেন ত্রাপানি। যার প্রেমিক স্বয়ং বেঞ্জামিন পাভার্ড। পাভার্ডের সোয়ার্ভিং শটই নাকি আর্জেন্টিনাকে হারানোর টার্নিং পয়েন্ট। দুই সুন্দরীই গ্যালারিতে বসে আর্জেন্টিনার হারের পরোক্ষ কারণ হয়ে থাকলেন।