মোনার্ক পদ্মার ম্যানেজমেন্ট সেরা কোচ: টিটু

0
57

নিজস্ব প্রতিবেদক: মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শিরোপার মঞ্চে মুখোমুখি হবে মোনার্ক মার্ট পদ্মা ও একমি চট্টগ্রাম মুখোমুখি হবে। এবারই বাংলাদেশের হকি ইতিহাসে সবচেয়ে জমজমাট এবং আকর্ষণীয় ম্যাচ হবে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। যে লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দেশের দুই সেরা ফ্রাঞ্চাইজ মোনার্ক মার্ট পদ্মা এবং একমি চট্টগ্রাম। ম্যাচের আগে নানান বিষয়ে কথা হয় মোনার্ক পদ্মার কোচ শহিদুল্লাহ টিটুর সঙ্গে। তিনি বলেন, মোনার্ক পদ্মার টিম ম্যানেজমেন্ট আমার দেখা সেরা ম্যানেজমেন্ট। ঘরোয়া লিগে মোহামেডানকে শিরোপা জেতানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে টিটুর। এবার পালা ফ্রাঞ্চাইজি হকিতে। টিটু বলেন, প্রথমত ধন্যবাদ জানাই আমাদের প্লেয়ারদের। তাদের চেষ্টা কিংবা প্রচেষ্টায়, তাদের দক্ষতা, তাদের পরিশ্রম-কষ্টের মাধ্যমে আমরা ফাইনাল পর্যন্ত এসেছি। একমি চট্টগ্রামও সেরা দল মেনেই আজ তারাও মাঠে নামবে। তবে নিজেদের শক্তিমত্তা এবং দলের ওপরও পূর্ণ আস্থা-বিশ্বাস রাখছেন।

খেলোয়াড়দের পরিশ্রমের ফল আজকের ফাইনাল। খাদের কিনারায় থাকা একটি দলকে টেনে ফাইনালে তুলে আনার পেছনের অন্যতম কারিগর হকির পরিচিত মুখ, জনপ্রিয় কোচ মাদারীপুরের সন্তান টিটু। এদিকে টিটুকে প্রশ্ন করা হলো খেলোয়াড়রা মাঠে খেলেছেন। বাইরে থেকে কোচ হিসেবে আপনি কতটা ভূমিকা রেখেছেন? আপনার কাজে আপনি কতটুকু সন্তুষ্ট?
শহিদুল্লাহ টিটু : সন্তুষ্টির তো শেষ নেই। তবে প্লেয়াররা যেন স্বাধীনভাবে নিজেদের কাজটুকু ঠিকঠাক করতে পারে, সেই কাজে বাইরে থেকে সহযোগিতা করেছি মাত্র। বিদেশি কোচের সঙ্গে সমন্বয়ে কোনো অসুবিধায় পড়েছেন কিনা।

তিনি বলেন, বিদেশি কোচের সঙ্গে কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসতে কখনো ঝামেলায় পড়তে হয়নি। আমরা সব সময় একটা পরিবার হিসেবে কাজ করেছি। হারি-জিতি রেজাল্ট যাই আসুক আমরা আমাদের বন্ধনটা ঠিক রেখে কাজ করেছি। আপনার অধিনায়ক পিন্টু আপনাকে ‘বিশ্বস্ত’ একজন কোচ হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেছেন। আপনার কারণেই নাকি দল গঠনসহ যাবতীয় কাজগুলো করতে সুবিধা হয়েছে। এ ব্যাপারে কী বলবেন। টিটু বলেন, কাগজে-কলমে অনেক ভালো দলও চ্যাম্পিয়ন হতে পারে না। চ্যাম্পিয়নশিপ দেয়ার মালিক আল্লাহ। আল্লাহ পাক কাকে সম্মানিত করবেন সেটা ওনার নির্ধারণ। পিন্টু (ইমরান হাসান) এবং আমি দল গঠনে সময় দুজনের মতের সঙ্গে মিল রেখে কাজ করেছি। যাকে ভালো মনে হয়েছে এবং লটারি ভাগ্যে সেরা প্লেয়ারকেই বেছে নেয়ার চেষ্টাটা ছিল। শহিদুল্লাহ টিটু বলেন, পুরো দলই ভালো খেলেছে।

৪ ম্যাচ আমরা হেরেছি। এরপরেও যে প্লেয়াররা কামব্যাক করেছে এটা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। আমি আশাবাদী ছিলাম আমার প্লেয়াররা পারবে। জিমি, পিন্টু সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে নিজেদের কাজ এবং দায়িত্ব শতভাগ নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছে। ওরা মাঠে যা দিচ্ছে খুব ভালো। কৃষ্ণা, রাকিন, শুভ ভালো করছে। ইরফান শেষ দিকে এসে দারুণ কামব্যাক করেছে। অভিজ্ঞ খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছে। বিকেএসপির প্লেয়াররাও আস্তে আস্তে উন্নতি করছে। বিদেশিদের কথা আর আলাদাভাবে নাইবা বললাম। সবাই ভালো খেলেছে। মোনার্ক পদ্মার উপদেষ্টা শাহবাজ আহমেদের টিমে ভূমিকা কতটুকু ছিল।

শহিদুল্লাহ টিটু বলেন, শাহবাজ ভাই দলের ছোট-বড় ভুলগুলো নিয়ে খেলা শেষে কথা বলতেন। বিদেশি কোচ এবং বিদেশি খেলোয়াড়দের নানান বিষয়ে পরামর্শ দিতেন। আমাদের প্রত্যেক খেলোয়াড় এমনকি দলের দ্বিতীয় গোলরক্ষক শাদের সঙ্গেও আলাদাভাবে কথা বলেছেন তিনি। শাহবাজ ভাই অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন। যা টিমের জন্যই ভালো হয়েছে।
টিটু দলের ম্যানেজমেন্ট বলেন, ম্যানেজমেন্টের কথা বলে আসলে শেষ করা যাবে না। খুবই ভালো আমাদের টিম ম্যানেজমেন্ট। দল গঠনের শুরু থেকে ফাইনালে আসা অবদি সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাই তারা দিয়েছেন। যখন যা চেয়েছি না করেননি। থাকা-খাওয়া থেকে শুরু করে যাবতীয় অন্যান্য কাজে আমরা তাদের ত্রুটি খুঁজে পাইনি। প্লেয়ার আনা থেকে শুরু করে এই যেমন অস্ট্রেলিয়ান প্লেয়ারটাকে এক রাতের মধ্যে তারা নিয়ে এসেছেন। টিমের প্রধান দায়িত্বশীল ব্যক্তি আবুল খায়ের হিরু ভাই কিংবা ম্যানেজার রফিক ভাই থেকে শুরু করে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান- তাদের অবদানের কথা শেষ করা যাবে না।