কাঠগড়ায় রুবেল-সাব্বির

0
128

স্পোর্টস ডেস্ক: নিশ্চিত জয়ের ম্যাচ হাতছাড়া হলো। জিততে জিততে হেরে গেলো বাংলাদেশ। না হয় সেন্ট কিটসে শেষ ম্যাচের আগেই সিরিজ নিশ্চিত হয়ে যেতো বাংলাদেশের। ১৩ বলে ১৪, ৯ বলে ১০ এবং ৭ বলে ৮ রান। হাতে ৬টি উইকেট। এমন পরিস্থিতিতেও কেউ ম্যাচ হারে- কল্পনারও বাইরে। অথচ, বাংলাদেশ হেরে গেলো মাত্র ৩ রানে।

তীরে এসে একেবারে তরি ডোবার মত করে এমন পরাজয়ে এখন বাংলাদেশের ক্রিকটে সমর্থকদের মধ্যে চলছে নানান ধরণের বিশ্লেষণ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে চলছে নানান কাটা-ছেড়া। বাংলাদেশের সমর্থকদের কাঠগড়ায় কিন্তু এই হারের জন্য দাঁড় করানো হয়েছে দুইজনকেই সবচেয়ে বেশি। রুবেল হোসেন এবং সাব্বির রহমান।

এই দু’জনের পারফরম্যান্স মোটেও মন ভরাতে পারেনি সমর্থকদের। রুবেল হোসেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন সত্য; কিন্তু শেষ ওভারে তিনি (দলীয় ৪৯তম ওভারে) দিয়েছেন ২২ রান। ২টি ছক্কাসহ এই ব্যায়বহুল বোলিংয়েই ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান গিয়ে পৌঁছাল ২৭০-এর কাছাকাছি।

রুবেল হোসেন যদি ওই সময় এতটা রান না দিতেন, তাহলে লক্ষ্যটা আরও কমে যেতো। হারের ব্যবধানই বলে দিচ্ছে, ওই ওভারের অতিরিক্ত রানই হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশকে।

আবার ব্যাটিংয়ে যদি তাকানো যায়, তাহলে এখানে সমর্থকদের কাঠগড়ায় সাব্বির রহমান রুম্মন। টানা ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন সাব্বির। ব্যাটে রান নেই। পাশপাশি আছে বিতর্ক। তবুও একের পর এক সুযোগ পাচ্ছেন সাব্বির এবং সেই সুযোগগুলো কাজেই লাগাতে পারছেন না। প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচেও সুবর্ণ সুযোগটা কাজে লাগাতে পারলেন না সাব্বির। ১১ বলে ১২ রান করে আউট হয়ে গেলেন তিনি। একটিমাত্র বাউন্ডারি হাঁকাতে পারলেন।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের আউট হয়ে যাওয়ার পর সাব্বির রহমান যে সময়টায় উইকেটে নেমেছিলেন, তখন চাপ কম। রান তুলতে হবে দ্রুত। চাপ বলতে এটাই। হাতে উইকেট এবং বল আছে। দ্রুত রান তুলে দলকে নিয়ে যেতে হবে জয়ের বন্দরে। কিন্তু সেখানে সাব্বির একটি বাউন্ডারি মারতে পারলেন শুধু। ছক্কা হাঁকানো তো দুরে থাক, একটা মাঝব্যাটে লাগিয়ে হলেন আউট।

শেষ মুহূর্তে যে এভাবে সাব্বির বল নষ্ট করলেন এবং রান করতে পারলেন না, ভক্ত সমর্থকরা তো এ কারণেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন রুবেল হোসেন এবং সাব্বির রহমানকে। ইব্রাহিম সোহান নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘দলে সাব্বির রহমান রুম্মান কি রোল প্লে করে? পিঞ্চ হিটার? ফিনিসার? যদি তাই হয়, তাহলে তার হিটিং এবিলিটি এবং গ্যাপ বের করার এবিলিটি থাকার কথা না? ওইটা কে চুরি করসে?’

সাদমান আলম নামে একজন লিখেছেন, ‘দলের সব দায়িত্ব নেয়ার ঠ্যাকা কি শুধু সিনিয়র প্লেয়ারদের? বাকি প্লেয়াররা কি পিকনিক করতে আসছে? সাব্বিরের রোল কি জাতীয় দলে? না পারে উপরে ব্যাটিং করতে, না পারতাছে নিচে! শুধু হাতের জোর আছে কোটায় চান্স দিলেই হয় না, এমন জোর জিয়াউর রহমানেরও আছে! এমন হার দেখতে দেখতে আসলেই সয়ে গেছে!!আগের মতো আর কোন ফিল হয় না!’

শাখাওয়াত হোসেন নামে একজন লিখেছেন , ‘দলে সাব্বিরের ভূমিকাটা কি? এ না টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান না লোয়ার অর্ডার। একে দেখে আমার ছোটবেলার দুধভাত খেলোয়াড়ের কথা মনে পড়ে। একটা প্লেয়ার দিনের পর দিন কন্সট্যান্টলি বাজে খেলেই যাচ্ছে। ইয়ং ইয়ং করে করে বয়সটাও ২৬ হয়ে গেছে, আর ইয়ং অর্ডার কোটায় চান্স দেবার সুযোগ আছে বলে মনে হয় না।’

রুবেলের বোলিং নিয়ে মোহাম্মদ আফজাল নামে একজন লিখেছেন, ‘রুবেলে হোসেনকে ৪৯তম ওভারে বল না দেয়াই ভালো, এর চাইতে মোসাদ্দেকরে দিলেও আরো ভালো বল করতে পারতো।’