মরকেলের বোলিং তোপে ৩২২ রানের বিশাল ব্যবধানে হারলো অস্ট্রেলিয়া

0
163

স্পোর্টস ডেস্ক : বল টেম্পারিংয়ের চেষ্টা হয় প্রতিপক্ষ ব্যাটিংকে ধাক্কা দিতে। ক্যামেরন ব্যানক্রফটকে দিয়ে সে উদ্দেশ্যেই বল বিকৃতির চেষ্টা চালিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ব্যানক্রফটের সিরিশ কাগজের ঘষাটা এমন বুমেরাং হবে কে জানত? ৪৩০ রানের লক্ষ্যে নেমে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা প্রমাণ করলেন, উইকেট পেতে টেম্পারিং না করলেও চলে। প্রোটিয়াদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে চতুর্থ দিনেই ৩২২ রানে কেপ টাউন টেস্ট হেরে গেল অস্ট্রেলিয়া।

বল বিকৃতির চেষ্টা করার কথা গতকালই স্বীকার করেছেন স্টিভ স্মিথ ও ব্যানক্রফট। এরপর অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে রীতিমতো টর্নেডো বয়ে গেছে। ক্রিকেট বোর্ড, সাবেক ক্রিকেটাররা এমনকি দেশটির প্রধানমন্ত্রীও দলের সমালোচনায় মেতেছেন। ম্যাচের মাঝপথে অধিনায়ক পাল্টানোর ঘটনাও তাই দেখা গেল আজ। দলের নীতিনির্ধারক অংশের (লিডারশিপ গ্রুপ) সদস্য হওয়ায় সহ-অধিনায়কের পথ থেকে ডেভিড ওয়ার্নারও সরে দাঁড়ানোয় হঠাৎ করেই দলের নেতৃত্ব পেলেন টিম পেইন।

নতুন অধিনায়কও পথ দেখাতে পারেননি দলকে। দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হওয়ার আগে ৩৭৩ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে জিততে হলে বিশ্ব রেকর্ড করতে হবে—এটা জেনেই নামতে হয়েছে ওয়ার্নারকে। অন্যদিকে ক্যারিয়ারের কঠিনতম ইনিংস খেলতে নামা ব্যানক্রফট। দেখেশুনে শুরু করে চাপটা ভালো মতোই স্মাওলে নিয়েছিলেন এ দুজন। সাবধানী ব্যাটিংয়ে চা-বিরতির আগে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৭ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া।

শেষ সেশনে নেমে ১০ রান তোলার পরই অবশ্য ধৈর্য হারালেন ব্যানক্রফট। ৩৬ রানে রানে আউট এই ওপেনার। ৫৭ রানে প্রথম উইকেট হারাল অস্ট্রেলিয়া। সেটা মুহূর্তেই হয়ে গেল ৪ উইকেটে ৫৯! পরপর দুই বলে উসমান খাজা ও শন মার্শকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন বাঁহাতি স্পিনার কেশব মহারাজ। এর আগে ওয়ার্নারের সঙ্গে চলা লড়াইয়ে আরও একবার শেষ হাসি হাসলেন কাগিসো রাবাদা। প্রথম ইনিংসে বোল্ড করেছিলেন, এবার এবি ডি ভিলিয়ার্সের ক্যাচ বানিয়েছেন।
টেম্পারিং কেলেঙ্কারিকে ভুলিয়ে দিতে এমন এক মুহূর্তের চেয়ে বেশি কিছু চাইতে পারতেন না স্মিথ। ব্যাটিংয়ে নামার আগেই জেনেছেন, পরের টেস্ট খেলা হচ্ছে না। ক্রিকেটের চেতনাবিরোধী কাজে তাঁকে পরের ম্যাচে নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। দল বাঁচানো এক মহাকাব্যিক ইনিংস খেলার জন্য এর চেয়ে ভালো পটভূমি আর পেতেন না স্মিথ। কিন্তু মরনে মরকেল সে সুযোগ দিলে তো! স্মিথকে ফিরিয়ে দিয়েই শুরু করলেন, শেষ করলেন হ্যাজলউডকে দিয়ে। হঠাৎ অধিনায়ক বনে যাওয়া পেইন এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে দেখলেন মরকেল তাণ্ডব। ১০ ওভারেরও কম এক স্পেলে ২৩ রানে ৫ উইকেট মরকেলের।